চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধারকৃত নারীর লাশের পরিচয় মেলেনি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধারকৃত নারীর লাশের পরিচয় মেলেনি। গতকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সদস্যদের মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে হোটেল মালিকসহ আটক ৩জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পলাতক পুরুষসঙ্গীর কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পৌরভবনের পার্শ্ববর্তী ‘চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেল’ নামক একটি আবাসিক হোটেলে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন তরুণ-তরুণী। হোটেলের রেজিস্ট্রারের তথ্য দেন স্বামী আনোয়ার হোসেন ও স্ত্রী ফরিদা খাতুন (২২), গাজীপুর, ঢাকা। কয়েকদিন তারা ওই হোটেলেই ছিলেন। গত সোমাবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ হোটেলকক্ষ থেকে ফরিদা খাতুন পরিচয়ের তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা মর্গহাউসে ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয়ে উদ্ধারে সারাদিন রাখা হয়। বিকেলে পর্যন্ত পরিচয় না মেলায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম সদস্যদের মাধ্যমে সন্ধ্যায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। এদিকে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বামী পরিচয় দেয়া আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, স্বামীর পরিচয় দেয়া পুরুষসঙ্গী আনোয়ারসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে এসআই নাজমুল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুরুষসঙ্গী আনোয়ার পলাতক রয়েছে। পলাতক পুরুষসঙ্গীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতারসহ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারবো।
অপরদিকে, হোটেল মালিকের ছেলে জিসান বড় বাজারের নৈশপ্রহরী জালালের বিষয়ে জানান, তার মোবাইলে ফোন করে আনোয়ারের খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আনোয়ারকে চিনি। একপর্যায়ে আনোয়ারের ফোন নাম্বার চাইলে জালাল বলেন, ঘণ্টা খানেক পরে দিচ্ছি। তারপরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।