ছেলের খোঁজে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার একরামুল হকের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার একরামুল হক ছেলের খোঁজ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মোমিনুল ইসলামের জামাই শামীম জোয়ার্দ্দার, সারজেদ কাঁঠালের ছেলে মোমিনুল ইসলাম ও শামীম জোয়ার্দ্দারের স্ত্রী মনিরা খাতুর লিমা। এরা ৩জন সংবদ্ধ মানবপাচারকারী দলের সদস্য। তারা আমার ছেলে ইমরানকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে। একই সাথে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার চুক্তিতে আমার ছেলেকে লেবাননে পাঠানোর জন্য আমাকে প্ররোচিত করে। অবশেষে আমি ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা নগদ ও ৬০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে প্রদান করি। গত ২০১৬ সালের ১৭ মে আমার ছেলে ইমরানকে লেবাননে পাঠানোর কথা বলে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে মানবপাচারচক্রের হাতে তুলে দেয়। সেখানে আটকিয়ে রেখে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বর্তমানে আমি আমার ছেলের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার ছেলে ইমরানকে খুন করে লাশ গুম করেছে অথবা তাকে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায় করছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে গত ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন। সঙ্ঘবদ্ধ পাচারকারীচক্রের ৩ সদস্য মামলা থেকে বাঁচার জন্য আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছে। এ মামলায় তারিখ দেখানো হয়েছে গত ২০১৭ সালের ১৫ মে। যা আমার মামলা দায়েরের পরবর্তী ঘটনা। এই মামলায় জামিনের জন্য হাজিরা দিলে গত ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর আমাকে আটক করা হয়। আমি গত ২৭ নভেম্বর জামিনে মুক্ত হই। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে মানবপাচারকারী দলের হাতে তুলে দিয়ে তাকে খুন করে অথবা অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রেখে আমার পরিবারের সদস্যদের অন্ধকারের এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এ চক্র আমাকে নির্যাতন ও হয়রানি করছে।