কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ১৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
দর্শনা অফিস: ১৯ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের ৮০টি ট্রেড ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী আন্দোলনে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ শ্রমিক-কর্মচারী সেক্টর করপোরেশন, বাংলাদেশ স্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন এমপ্লয়ীজ অ্যান্ড ওয়ার্কাস ফেডারেশন, বাংলাদেশ পাঠকল শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ফোডারেশন ও বাংলাদেশ এফআইডিসি শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সমন্বয়ে সেক্টর করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদের ডাকে ৩ মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে কেরুজ চিনিকলের রেসনসোপের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের দাবির যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা বিবেচনা করে তা পূরণ করতে হবে। তাছাড়া জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ঘোষণা করতে হবে। আমাদের ১৯ দফা দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীরা ন্যায্য দাবি আদায়ে রাজপথে নামলেও বারবার উপেক্ষিত হয়েছে সে দাবি। শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি সরকারের কেন এ অনিহা আমরা তা জানতে চাই। যে শ্রমিক-কর্মচারীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাঁচিয়ে রেখেছে দেশের শিল্প-কলকারখানা, বাঁচিয়ে রেখেছে দেশের অর্থনৈতিক শক্তি, সে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি সরকারের এ অনিহা বরদাস্ত করা হবে না। এ আন্দোলনে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যদিয়ে আমাদের দাবি আমরা আদায় করেই ঘরে ফিরবো। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর আনন্দ বাজার চত্বরে পালিত হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচি। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি ফারুক আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক খবির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিকনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ সবুজ প্রমুখ।