দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত বাজারে সার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছে কৃষকেরা। এ সময় কৃষকেরা সার ডিলারকে ঘেরাও করে রাখে। ইউএনও ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়, রোববার দুপুরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত, মুন্সিগঞ্জ ও ইনছাফনগর এলাকার ৮ শতাধিক কৃষক বিসিআইসি নিযুক্ত রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সার ডিলার মেসার্স শান্ত ট্রেডার্স এ ইউরিয়া সার নিতে এলে সার নেই বলে জানানো হয়। এ সময় সার ডিলার আরো জানান, সারের সঙ্কট আছে। যদি বস্তা প্রতি ১ হাজার ৫শ টাকা দেয়া হয় তবে, সার পাওয়া যাবে বলে জানালে কৃষকরা উত্তেজিত হয়ে সার ডিলার হাবিবুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোকতার হোসেন ওসি আব্দুল খালেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর ইউএনও এবং ওসির উপস্থিতিতে ডিলারের গুদামে রক্ষিত প্রায় ৭ টন ইউরিয়া কৃষকপ্রতি ২০ কেজি করে দেয়া হয়। যা কৃষকদের কোনো কাজে আসবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বরে মেসার্স শান্ত ট্রেডার্সকে ১শ মেট্রিক টন সারের বরাদ্দপত্র দেয়া হয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা জানান, বিএটিবির ম্যানেজার শাকিল আহমেদ ও সুপারভাইজার শাহাজুলের সাথে যোগসাজস করে সার ডিলার হাবিবুল ইসলাম গোপনে তামাক চাষিদের কাছে সমুদয় সার সরবরাহ করায় আমরা সাধারণ চাষিরা সার পাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোকতার হোসেন জানান, এ সকল বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর আপদকালীন পার্শ্ববর্তী সার ডিলারের নিকট থেকে ১শ বস্তা সার এনে চাষিদের মধ্যে দেয়া হচ্ছে।