স্টাফ রিপোর্টার: তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের উপস্থিতি মৃত্যুকূপ বানিয়ে দিয়েছে ডি-গ্রুপকে। কিন্তু চার দলের সম্মিলিত শক্তির বিচারে ২০১৪ বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ-জি। জি-গ্রুপে দু ইউরো জায়ান্ট জার্মান ও পর্তুগালের সাথে রয়েছে আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার দু সেরা দল ঘানা ও যুক্তরাষ্ট্র। অলিখিত এ মৃত্যুকূপে দেখা যাবে রোমাঞ্চকর কিছু খণ্ড লড়াই। বেরসিক ড্র মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দু বন্ধু, দু সাবেক সতীর্থ ও দু ভাইকে। জোয়াচিম লো বনাম জুর্গেন ক্লিন্সম্যান, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম মেসুত ওজিল ও কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং বনাম জেরোম বোয়াটেং। বোয়াটেং ভাইদের লড়াইটাই হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। জার্মান-ঘানা ম্যাচের শিরোনাম হতে পারে দু ভাইয়ের যুদ্ধ। ২০১০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও কেভিনের ঘানার মুখোমুখি হয়েছিলো জেরোমের জার্মান। সেবার ১-০ গোলে জিতেছিলো জার্মানরা। সৎ ভাই হলেও গলায় গলায় ভাব দুজনের। ড্রর পর কেভিনের তাৎক্ষণিক টুইট, ভাই, আবারও দেখা হচ্ছে … এ জন্যই জীবনটা এত সুন্দর! পরে জার্মানের এক পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, আমি খুবই খুশি। কিছু স্বপ্ন সত্যও হয়। বিশ্বকাপে আমার ভাইয়ের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলতে আমি মুখিয়ে আছি। লো-ক্লিন্সম্যান দ্বৈরথও কম রোমাঞ্চকর হবে না। ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির ডাগআউটে ক্লিন্সম্যানের সহকারী ছিলেন লো। ক্লিন্সম্যান সরে দাঁড়ানোর পর প্রধান কোচের দায়িত্ব পান লো। জার্মানির ১৯৯০ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ক্লিন্সম্যান পরে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হয়েছেন। নিজের দেশ ও কাছের বন্ধু লোর মুখোমুখি হয়ে দার্শনিকের মতো ক্লিন্সম্যান বলেছেন, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর গল্প লেখা হতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য এর চেয়ে কঠিন গ্রুপ আর হতে পারতো না। আর লো বলেছেন, তাহলে পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হতে চলেছে! যুক্তরাষ্ট্রকে একই গ্রুপে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। জুর্গেনের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। কিন্তু ম্যাচের আগে সেই মনোভাব অবশ্যই পাল্টাবে। জার্মানির গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে পর্তুগাল। ১৬ জুনের মহারণে বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে যাবেন ওজিল ও রোনালদো। এ মরসুমে ওজিল রিয়াল ছেড়ে আর্সেনালে পাড়ি জমানোয়ও তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেনি। কিন্তু বিশ্বকাপে কেউ কাউকে সামান্য ছাড় দেবেন না।