চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উদ্যোগে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ গরীব মেধাবী মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ১৪৯জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় জেলা পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে চেক তুলে দেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক-ডিডিএলজি) আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, এনএসআই’র উপ-পরিচালক আবু জাফর ইকবাল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মো. সাঈদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) সিদ্দিকুর রহমান ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরজাহান খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাইফ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান, সিরাজুল ইসলাম, নুরুন্নাহার কাকলি, শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান ও শান্তনা খাতুন।
অনুষ্ঠানে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ২৯৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে থেকে ১৪৯ জনকে বাছাই করে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হলো। এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান বিজ্ঞান বিভাগে ৫১, মানবিক বিভাগে ৩৬, বাণিজ্য বিভাগে ৯ জন। এদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। মেডিকেল/ডেন্টাল বিভাগে ১৫, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ৫, কৃষি বিভাগে ৫ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ বিভাগে ৩৫ জন। এদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, স্বীকৃতি পায় যারা তারা খারাপ হতে পারে না। তারা প্রত্যেকে ভালো মানুষ হবে। দেশ ও চুয়াডাঙ্গার মুখ উজ্জ্বল করবে। অন্যকে ক্ষতি করে ওপরে ওঠা যায় না। অন্যকে সহযোগিতা করে ওপরে উঠতে হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, প্রতিবছর গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে বৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে পরিষদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরজাহান খানম বলেন, গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির পরিমাণ কম ছিলো। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের উদ্যোগে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।