স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা লোকমোর্চার কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে দাবি করেছেন সদর উপজেলা লোকমোর্চার বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বিশ্বাস মিল্টুসহ ২৩ সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে জেলা লোকমোর্চার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তারা। ওই কমিটির সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনার সিদ্ধান্তে বলা হয় যেহেতু চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চা মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়ে সদর উপজেলা লোকমোর্চাকে কোনো কারণ দর্শানো বা আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ প্রদান করেনি, ফলে তাদের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। যেহেতু ইতঃপূর্বে বিগত ১৪ বছর যাবত সংগঠনের নিয়মানুযায়ী জেলা কমিটির সুপারিশে এবং কর্র্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে নির্বাচনের আগে কমিটির সভাপতি কর্তৃক পূর্বের কমিটি ভেঙে নিয়ে তাৎক্ষণিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টে আমরা বিষয়টি সম্বন্ধে জ্ঞাত হয়েছি, সেহেতু মনগড়া এক পাক্ষিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যেহেতু সিদ্ধান্তটি গঠনতন্ত্র বিরোধী, সেহেতু সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিকভাবে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান আশা করি। গঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলপূর্বক গঠনতন্ত্র¿ অনুযায়ী উপজেলা লোকমোর্চার কমিটি বহাল রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদ সভায় যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. আহসান আলীর উপাস্থানায় বক্তব্য রাখেন জাফরুল হক, শাহানা ইউসুপ কেয়া, আশারাফ বিশ্বাস মিল্টু, মিলি আলম, নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, মফিজুর রহমান মনা, ইদ্রিস আলী, খলিলুর রহমান, শাহাদৎ হোসেন, আব্দুল রহমান, কামরুজ্জামান হেনা আক্তার, আয়শা পারভীন, মমতাজ, শিখা সেন গুপ্ত, রিজিয়া খাতুন, মোশারফ হোসেন, আনোয়ার উদ্দিন, ফিরোজ আল মামুন, নাসির জোয়ার্দ্দার, শরিফুল আলম বিলাস, সাব্বির কামাল প্রমুখ।
প্রসজ্ঞত, গত ২১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধন্তে কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা লোকমোর্চার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।