ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ সাময়িক বরখাস্ত

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: মাদক ও বিস্ফোরক মামলা বিচারাধীন থাকায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনটি জারি হলেও গত বৃহস্পতিবার তা কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হাতে এসে পৌঁছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বারোবাজার থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বারোবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা গত বছর ৩০ জানুয়ারি আদালতে গৃহীত হয়, পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ উপধারা (১) অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় জানান, বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপনের কপি হাতে পাওয়ার পরই ইউনিয়নের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারের নিজ কার্যালয় থেকে দুটি তাজা বোমা, ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ২৫০ পিস ইয়াবাসহ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, তার বড় ভাই আব্দুস সালাম, তাদের সহযোগী উজ্জ্বল হোসেন, সুমন হোসেন ও ফরহাদ হোসেনকে আটক করে র‌্যাব-৬। পরদিন র‌্যাব-৬ এর ডিএডি মো. জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লে¬খ করে মাদক ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এ ঘটনার চারদিন পর ২ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আরেকটি অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে ১টি দেশীয় রিভলবার, ৪টি শুটার গান, ৩ হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। সে সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সোহেল রানা, সোহান ও জামাল নামের অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।