আলমডাঙ্গার পল্লি রংপুরে দু’দুষ্টুর বোকামি দেখে বড়দের চোখ কপালে
স্টাফ রিপোর্টার: মামুন দু আড়াই বছরের দুষ্টু, আর ওর মামাতো ভাই কিবরিয়ার বয়স টেনেটুনে তিন। একইবাড়ির বাসিন্দা দু’শিশু কখনো ঢুলছে, কখনো বলছে আবোলতাবোল। অতোটুকু বয়সে অন্যরকম আচরণে বাড়ির বড়দের চোখ ওঠে কপালে। সময় বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থতাও পেয়ে বসে ওদের। কেনো এমন হলো? ওরা তখন বাড়ির পাশে সারের গর্তে কুড়িয়ে পাওয়া ট্যাবেলটের মোড়ক দেখিয়ে বলে এসবই খেয়েছি।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া দু’শিশু মামুন ও কিবরিয়াকে বিকেলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন ওই দু’শিশুর অভিভাবকদের নিয়ে আনা ট্যাবলেটের মোড়ক দেখে বলেন, এলপ্রাজুলাম দশমিক ৫ পাওয়ারের পিল মূলত মানসিক রোগে আক্রান্তদের জন্য দেয়া হয়। ওই পিল বেশি সেবন করলে শিশুদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারতো। ভাগ্যিস অল্প সেবন করেছে। হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দ্রুতই ওরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রংপুর জোয়ার্দ্দারপাড়ার শাহাবুল ইসলামের ছেলে মামুন (২) ও এনামুল হকের ছেলে কিবরিয়া (৩) গতকাল বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে দু’শিশু বাড়ি ফিরে একবার বিছানায় শাটপাট হয়ে শুয়ে পড়ে। উঠে বসে বকতে থাকে এলোমেলো। কি বলতে কি বলছে ভেবে না পেয়ে বড়রা কারণ খুঁজতে শুরু করে। প্রথমে কেউ কেউ দৃষ্টিরভাব বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও বাড়ির সচেতন সদস্যরা দু’শিশুকে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এ সময় দু’শিশু বলে গর্তে পাওয়া ওষুধ সেবনের কথা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থতা পেলে অভিবাকদের মধ্যে ফেরে স্বস্তি।