প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে সঙ্কটে নিয়ে যাবে
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘জনগণ হতাশ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এতে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। বরং জাতিকে আরেক দফা সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাবে। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণের ঘণ্টাখানেক পর গতকাল শুক্রবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার বেলা ৩টায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কীভাবে নির্বাচন অর্থবহ করা যায় তা নিয়ে কিছু বলেননি। দুঃখজনকভাবে তার বক্তব্যে সঙ্কট নিরসনের কোনো লক্ষণও খুঁজে পাইনি। তার বক্তব্যের সঙ্গে সত্যতার মিল নেই। ‘তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এ পরিস্থিতি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার, তার আয়োজনে সরকার আন্তরিক নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জনগণ আশাহত হয়েছে। ‘দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশ দুর্নীতির মহাসড়কে আছে। উন্নয়নের নামে সবেচেয় বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। ‘তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছেন, কিন্তু বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলায় সে সঙ্কট রয়ে গেল! দেশের মানুষ অর্থবহ নির্বাচন দেখতে চায়। তার বক্তব্যের মধ্যে সমঝোতার ইঙ্গিত দেখা গেল না। এটা হতাশাজনক। মানুষ এ অন্যায় সহ্য করবে না। ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে ‘হুমকি’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) হুমকির সুরে এ কথা বলেছেন। আমরা বলতে চাই, নৈরাজ্য বিরোধীদল সৃষ্টি করে না। নৈরাজ্য সরকার করে। বিগত সময়ে তারাই নৈরাজ্য করেছিলো যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তার বক্তব্য জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ‘তিনি আরও বলেন, ‘এ সংবিধান কাদের; কাদের দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে? সংবিধান সংশোধনে জনগণের আশার প্রতিফলন হয়নি। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার একতরফাভাবে বাতিল করেছে।
‘এদিকে, রাতে বনানী মাঠে মির্জা ফখরুলের শীতবস্ত্র বিতরণের কথা থাকলেও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করায় তা বাতিল করা হয়। তফশিল অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রচার করা যাবে না। পরে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা গুলশান কার্যালয়ে ফিরে যান। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী, অর্পণা রায়, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রমুখ।