জীবননগরে শৈত্যপ্রবাহে বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত

বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত উপজেলার কৃষকরা
জীবননগর ব্যুরো: প্রথম দফায় ৪ দিন ও দ্বিতীয় দফায় চলমান ৬ দিনসহ টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাড়কাঁপানো তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার ফলে উপজেলার সর্বত্র বোরো বীজতলা (পাতু) কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উপজেলার বোরো চাষিরা তাদের বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এ জন্য কৃষকরা তাদের ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু ১০ দিনব্যাপী তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার উথলী গ্রামের বোরো চাষি ছমির উদ্দীন জানান, এবার ১ একর জমিতে বোরো আবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সে মোতাবেক আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ৫ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করেছি। কিন্তু দু’ দফায় টানা ১০ দিনের শৈত্যপ্রবাহের ফলে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার সমস্ত চারা শুকিয়ে যাচ্ছে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও বীজতলা ভালো রাখতে পারছি না। এখন চিন্তায় আছি ঠিক সময় মতো বোরো আবাদ করতে পারবো কি না? একই কথা বলেন, উপজেলার বেনীপুর গ্রামের বোরো চাষি আব্দুল মালেক। এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করার জন্য ৭ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে তার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ধরনের চিত্র প্রায় উপজেলার সর্বত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জন্নাহ্ জানান, দু’ দফায় প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার কিছু বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে বোরো চাষিদেরকে প্রতিদিন ভোরে বীজতলার পানি পরিবর্তন, ভোরবেলা বীজতলায় চারার আগা থেকে শিশির ফেলে দেয়া, রাতে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ও বীজতলায় ধানের চারার গোড়া পর্যন্ত ছাই দিয়ে ঢেকে দেয়া এবং আক্রান্ত বীজতলায় থিয়োভিট জাতীয় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন।