জনযুদ্ধ পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের আরও চার কর্মকর্তার নিকট চাঁদা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: জনযুদ্ধ পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের আরও চার কর্মকর্তার নিকট চাঁদা দাবি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও জনৈক ব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার বিপ্লব পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে। গত দু’দিন ধরে ৭জনের নিকট চাঁদা দাবি করে জনৈক ব্যক্তি। অব্যাহতভাবে চাঁদা দাবি করায় স্বাস্থ্য বিভাগে চাঁদাবাজ আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী আব্দুস সবুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
জানা গেছে, গতপরশু সোমবার দুপুরে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে জনৈকব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার বিপ্লব পরিচয় দেয়। তারপর ০১৮৬৩-৬৯০৯৩৭ নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করে হাসপাতালের প্রধান সহকারী আব্দুস সবুর, স্টোরকিপার হাদিউজ্জামান ও জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথেসিয়া ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিমের নিকট। এরপর গতকাল মঙ্গলবার একই ব্যক্তি ০১৬৩৬-৪৭৬০৮৭ নম্বর থেকে আরও চার কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি করে। এরা হলেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, সদর হাসপাতালের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, চক্ষু কনসালট্যান্ট শফিউজ্জামান সুমন ও সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যক আখতারুজ্জামান। একের পর এক অব্যাহতভাবে স্বাস্থ্য বিভাগে চাঁদা দাবি করায় রীতিমতো চাঁদাবাজি আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক জনান, এ বিষয়ে সাধারণ ডায়রি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবীর জানান, কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। আর এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা ইতোমধ্যেই নম্বরের কললিস্ট পেয়েছি। এটা সম্ভবত কুমিল্লা দাউদকান্দি, নোয়াখালী, মাদারীপুর থেকে কিছু প্রতারক আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এই প্রতারক সিন্ডিকেট শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।