ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ৭ শিশু শিক্ষার্থীর ফলাফল পাচ্ছে না তাদের পরিবার। শিশুরাও পরীক্ষা দিয়ে ফল না পেয়ে কান্নাকাটি করছে। কালীগঞ্জ কোয়ালিটি স্কুল (ইংলিশ মিডিয়াম) নামের এ প্রতিষ্ঠানের ৭ শিশু শিক্ষার্থীর কেন এ অবস্থা তারও কোনো সঠিক উত্তর পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। এক অভিভাবক জানান, তার শিশুসন্তানসহ ৭ শিশু এ স্কুল থেকে এবার পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। স্কুলটি থেকে গত চার বছর শিশুরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার অংশ নেয় শেখ শাদিদ আহম্মদ (রোল-৪০২৯), আলিফ আহমেদ (রোল-৪০৩০), তামিম ইকবাল (রোল-৪০৩১), তাজদিকুল ইসলাম (রোল-৪০৩২), আফরিন সুলতানা (রোল-৪০৩৩), লামিয়া জামান (রোল- ৪০৩৪) এবং মিশুরা আক্তার (রোল-৪০৩৫)। এরা সবাই ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত। গতকাল শনিবার সমাপনী ফল প্রকাশের পর তাদের ফলাফল অন-লাইনে খুঁজে পাননি পরিবারের সদস্যরা। ওই স্কুলের একটি শিক্ষার্থীর ফলও প্রকাশ হয়নি। শেখ শাদিদ আহম্মদের বাবা শাহিনুর আলম জানান, পাঁচ বছর পড়ালেখা করে বাচ্চারা পরীক্ষা দিয়েছে। তারা জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা হিসেবে এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফলাফল প্রকাশের দিন বন্ধুরা সবাই পাস করেছে আর তারা ফলই পাচ্ছে না-এটা তাদের জন্য অনেক কষ্টের। তিনি জানান, কোনোভাবেই ছেলেকে সামলাতে পারছেন না। কান্নাকাটি করছে। কর্তৃপক্ষ এ বাচ্চাদের ফলাফল তালিকায় তুলতে ভুল করায় এ অবস্থা হয়েছে। এখন ওই তালিকায় নাম উঠবে কি না তা নিয়ে তারা চিন্তিত। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অন্য স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় শিশুরা অংশ নিয়েছে। কিন্তু এ ৭ শিশুর ফল না আসায় ভর্তিও হতে পারছে না। প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান, তার মেয়ের ৪ বিষয়ের নাম্বার পাঠানো হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার কাছে অভিভাবকেরা বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা তেমন কোনো উত্তর না দিয়ে ‘ফল পাওয়া যাবে’ বলে জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেছেন। ওই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, কেন এটা হলো তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। বাচ্চারা ফল না পেয়ে হতাশ হচ্ছে। তবে শিক্ষা অফিসাররা কথা দিয়েছেন দ্রুতই এরা ফল পেয়ে যাবেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, শিট দেখে তারা ফলাফল ওই শিশুদের অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছেন। আর একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন। তারা আশা করছেন, অন-লাইনে ফলাফলের তালিকা সংশোধন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।