মনোনয়ন বাতিলকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে প্রার্থীতা পেতে আপিলের পথে শামসুল আবেদীন খোকন মীর্জা লণ্টু ও মতিয়ার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনায়নপত্র বাছাইয়ের দিনে আওয়ামী লীগের ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪ জনের মনোনায়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলেও ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীতপ্রার্থী চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের মনোনায়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জাসদ মনোনীত সবেদ আলী ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত অ্যাড. সোহরাব হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সিরাজুল ইসলাম শেখ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত আকবর আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র স্বতন্ত্রপ্রার্থী মতিয়ার রহমান এবং একই আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু তাদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। এ তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নির্বাচন অফিস এনেছে তা হলো, তাদের মনোনায়নপত্রে শর্ত অনুয়ায়ী মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন স্বাক্ষরকারীদের যে ১০ জন ভোটারের নাম, ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। মনোনায়ন বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগের এ ৩ স্বতন্ত্রপ্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ বিষয়ে আপত্তি জানাবেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আবেদন করেছেন।
বাতিল হওয়া অন্যটি হলো চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টি (জেপি)’র (মঞ্জু) প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম মঞ্জুর-উল-করীম রুবেল। তার মনোনয়নপত্রে হলফনামা না থাকায় বাতিল করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আপত্তি জানিয়ে আবেদন করবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দশম সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ছয়জন প্রার্থীর আবেদন বৈধ ও চারজন প্রার্থীর আবেদন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।