চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে পুলিশের লাঠিচার্জ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা শরিফ উর জামান সিজারসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা বলে দাবি করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথক বিবৃতিতে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বলেছেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভার জন্য পৌরসভা থেকে শ্রীমন্ত টাউনহল ব্যবহারের অনুমোদন নেয়া হয়। অথচ এখন বলা হচ্ছে, অনুমোদন ছাড়াই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিলো। অপরদিকে পুলিশ বলেছে, পুলিশের অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠান করাসহ সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় গৃহীত কর্মসূচির মূল পর্ব পালনের স্থান ছিলো শ্রীমন্ত টাউনহল। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু এক বিবৃতিতে বলেছেন, অনুষ্ঠান শুরুর প্রস্তুতি পর্বেই পুলিশ শ্রীমন্ত টাউনহলের দরজা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় নেতা শরিফ উর জামান সিজারসহ বহু নেতাকর্মী আহত হয়। দুজনের অবস্থা গুরুতর। অথচ পুলিশ বাদী হয়ে সিজারসহ ছাত্রদলের ২৮জনের নাম উল্লেখ করে দু’আড়াইশ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে। যা মিথ্যা মামলা। এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অভিন্ন দাবি জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মজিবুল হক মজুসহ নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে পুলিশ পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে। সরকারের মদদে গণতন্ত্র ধূলণ্ঠিত করার চেষ্টা দেশবাসী প্রতিহত করবেই করবে। অপরদিকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেছেন, অনুমোদন না নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। পৌরসভার নিকট থেকে শ্রীমন্ত টাউনহলে ব্যবহারের অনুমোদনপত্রও পেশ করেছেন তিনি। অথচ পুলিশ সূত্র বলেছে, শ্রীমন্ত টাউনহল ভাড়া নেয়া বা অনুমোদন নেয়া মানে তো আর রাজনৈতিক কর্মকা-ের জন্য পুলিশের অনুমোদন নেয়া নয়। অনুমোদন না নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকা-, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামি গ্রেফতারেরও প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
সূত্রে বলেছে, যে ২৮জনের নাম উল্লেখ করে দু’আড়াইশ জনকে আসামি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার শরিফ উর জামান সিজার, নূরনগর ঠাকুরপুরের তৌফিক, মাঝেরপাড়ার জনি, নূরনগর কলোনীর মোস্তফা, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রাজীব, বেগমপুরের সজীব, হাজরাহাটির আল আমিন, শঙ্করচন্দ্রের মওলা, হাসান, বাগানপাড়ার সোহেল, খেজুরার ইমদাদ, পিরোজখালীর তারিক, শেখপাড়ার বকুল, রানা, আক্তার, ফার্মপাড়ার মিশর, জুয়েল, আজাদ ওরফে ছোট, সিনেমাহলপাড়ার তালহা, কোর্টপাড়ার ফিরোজ সারোয়ার রোমান, কেদারগঞ্জের শিমুল, এতিমখানাপাড়ার মিলন, কলোনীর মোস্তফা, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সুজন, মালোপাড়ার শান্ত, বাগানপাড়ার সাদ্দাম, শান্তিপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিক ও বাসস্ট্যান্ডপাড়ার হিরক প্রমুখ।