মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের মুন্সিগঞ্জ রেলগেটে যানজট এখন এলাকাবাসীর গা সওয়া হয়ে গেছে। রেলগেট পড়লেই সড়কের দু’পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবহনের জট লেগেই থাকে। সড়কটি জন্মলগ্ন থেকে এক লেনের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো। প্রায় ১৫ বছর আগে রাস্তাটি দুই লেন করে রাস্তার দুই পাশ প্রশস্ত করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। মুন্সিগঞ্জ রেলগেটে সড়কের দুই পাশে একটু প্রশস্ত করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। ভোগান্তি কিছুটা কমলেও জনসংখ্যা ও বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকারের যাজনবহন বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ বাজারের উপর রেলগেটের দুই পাশে যানজট লেগেই থাকে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়ক পথে সড়ক ব্যবহারকারী যানবহনের সংখ্যা সড়কের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যানবহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে যেমন পারছে না তেমনি সড়কের মুন্সিগঞ্জ রেলগেটে গেট পড়লেই সড়কের দুই ধারে ব্যাপক আকারে যানজট লেগে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কটি এক লেন থেকে দুই লেনে উন্নীত করা হয়। কিন্তু মুন্সিগঞ্জ বাজারের রেলগেটের দুই পাশে অদৃশ্য কারণে রাস্তা প্রশস্ত করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বাজারের রেলগেটের দুই পাশে সড়কের সামান্য প্রশস্ত করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। বর্তমানে সড়কটি কুষ্টিয়া সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে যানবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও অবৈধ পরিবহন আলমসাধু, নসিমন, করিমন, ভটভটি, পাখিভ্যান, চার্জার অটো বৃদ্ধি পেয়েছে। রেল সড়কের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রেন যাতায়াযাত করে। ট্রেন যাওয়ার পূর্বে সড়কের গেট ফেলে দেয়া হয়। সড়কের দুই পাশে যানবহন সারিবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে থাকে। লেগে থাকে সীমাহীন যানজট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়কের উপর যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে পথচারী ও যানবহন চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, মুন্সিগঞ্জ রেলগেটের যানজট নিরসনে সড়কের দুই পাশে রাস্তা প্রশস্ত হবে কি?