খালেদা জিয়ার মামলার রায় সমাগত : চলছে যুক্তিতর্ক

বিএনপিতে উদ্বেগ : পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনে প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে যুক্তিতর্ক। আরও কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবে আদালত। এই মামলার রায়কে সামনে রেখে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা বিরাজ করছে বিএনপিতে। বিএনপির ঘোর সন্দেহ, খালেদা জিয়াকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য করতে পেছন থেকে সরকার কলকাঠি নাড়তে পারে। মামলার রায় বিপক্ষে গেলে সংকট উত্তরণে একাধিক বিকল্প বিবেচনায় রেখে আইনি ও রাজনৈতিক সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি রাখছে বিএনপি। অন্যদিকে, রায়কে ঘিরে দেশে যেনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে না পারে-সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনও। ধারণা করা হচ্ছে, রায়ে বিএনপি প্রধান দণ্ডিত হলে এটিকে ঘিরে আসন্ন নতুন বছরে হঠাত্করে রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

প্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের আগে দশম সংসদ নির্বাচনের চার বছর পূর্তিকে ঘিরেও বিএনপি রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে এমন তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি প্রতিবছর দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। ২০১৫ সালে দিনটিকে ঘিরে টানা ৯৩ দিন অবরোধ করেছিলো বিএনপি। আসছে ২০১৮ সালকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর হিসেবে ধরা হচ্ছে। আবার এই বছরেই যে কোনদিন খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত রায় ও নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি আগে থেকেই মাঠ-রাজনীতি গরম করার চেষ্টা করতে পারে। এমন তথ্য থেকেই আগামী ৫ জানুয়ারিকে ঘিরেও সার্বিক প্রস্তুতি রাখছে প্রশাসন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারও ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে বিএনপি। তবে দিনটিকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দলটির নেই। অবশ্য জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় খালেদা জিয়ার বিপক্ষে গেলে তা আইনি ও রাজনৈতিক দু’ভাবেই মোকাবিলা করা হবে। সেক্ষেত্রে আন্দোলনের বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি আসবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। রায় ঘোষণার তারিখ দেয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। আপাতত নির্দেশনা হচ্ছে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হওয়ার দিন নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। এছাড়া নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে এখন থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলের নেতা-কর্মীদের আগাম নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন খালেদা জিয়া।

সূত্রমতে, ৫ জানুয়ারি ও খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে সামনে রেখে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সম্ভাব্য সব ধরনের পরিস্থিতির চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে যাবতীয় প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকের দু’একদিন পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বেগম জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।’

খালেদা জিয়ার মামলা আদালতে বিচারাধীন হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবারই অভিযোগ করা হচ্ছে, ‘মিথ্যা’ মামলায় জোর করে সাজা দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। খালেদা জিয়ার মামলার পরিণতি নিয়ে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য দলসহ গোটা রাজনৈতিক অঙ্গনেই নানামুখী আলোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হবে কী হবে না, সাজা হলে কী হবে, সাজা না হলে কী হবে, নিম্ন আদালতে সাজা হলেই খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হবেন কী হবেন না, সাজা হলে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর কী হবে, নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালত স্থগিত করলে বা না করলে কী হবে, স্থগিত না হয়ে উচ্চ আদালতে শুধু বিচারাধীন থাকলে কী হবে-এ রকম খুঁটিনাটি নানা কথা ও হিসাব-নিকাশ চলছে রাজনীতির অলিগলিতে।

খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা বারবারই বলে আসছি মামলাগুলো মিথ্যা। এসব মামলার কোনো মেরিট নেই। তা ছাড়া এটা ব্যক্তিগত সম্পদবিষয়ক মামলা, এখানে খালেদা জিয়া কোনো অর্থ আত্মসাত করেননি। এরপরেও আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে- সরকার জোর করে তাকে সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করতে চাচ্ছে।’ তবে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার কিংবা জেলে পাঠানোর কোনো ভাবনা সরকারের নেই। আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে কারাগারে যাবে কি-না, সে মাফ পাবে কি-না সেটা আদালত বলতে পারবেন। তবে সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।’

শুধু মির্জা ফখরুল বা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাই নন, খোদ খালেদা জিয়া নিজেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে সম্প্রতি আদালতে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়া এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে ক্ষমতাসীনরা একটি নীল নকশা প্রণয়ন করেছে।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। যুক্তি-তর্ক শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান বলেন, এ মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার মানসম্মান জড়িত। এ মামলায় কিছুই নেই। কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি দুদক। গতকাল আদালতের কার্যক্রম শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন-এটা দুদকের ৩২ জন সাক্ষীর একজনও আদালতে বলেননি। তাকে হয়রানির জন্য এ মামলা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ মামলায় খালাস পাবেন খালেদা জিয়া।’ অপরদিকে আদালতের কার্যক্রম শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় দুদক সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে, এজন্য আমরা খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছি। আজ বুধবার চতুর্থদিনের মতো আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, ‘নিম্ন আদালতে সাজা হলেই কেউ নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, বিষয়টি আসলে আমাদের আইনে স্পষ্ট নয়। নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা হলে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন, এটা স্বাভাবিক। উচ্চ আদালত যদি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ না দেয় এবং আপিল বিচারাধীন থাকলে আইনের স্বাভাবিক হিসাব বলে কারাগারে থেকেই তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আর উচ্চ আদালত যদি তার আপিল খারিজ করেন তাহলে অন্য কথা। তা ছাড়া উচ্চ আদালতের ইদানিং কিছু রায়ে বিষয়গুলো নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। যেমন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাজা হয়েছিলো, হাইকোর্ট তার আপিল খারিজ করে দেয়, এরপর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ খারিজ করে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়। এর অর্থ হচ্ছে মামলাটি এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু মায়ার মন্ত্রিত্ব কিংবা সংসদ সদস্য পদ তো যায়নি। আপিল করা অবস্থায় তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল আছেন। কাজেই এখানে মন্ত্রী মায়ার বিষয়টি একটি উদাহরণ হয়ে থাকছে। এই উদাহরণ ধরে এটা বলা যায়, উচ্চ আদালতে আপিল থাকলে কেউ নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার কথা নয়।’

শাহ্দীন মালিক বলেন, ‘নবম সংসদের সদস্য থাকা এবং যিনি বর্তমান সংসদেরও সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলার রায় ও এর ঘটনাপ্রবাহও আমাদের সামনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আদালত অবমাননার রায়ও দৃষ্টান্ত, এই দুই মন্ত্রী দণ্ডিত হয়ে জরিমানা দিয়েছেন, বাস্তবতা হলো তারা সংসদ সদস্য আছেন, মন্ত্রী হিসেবেও বহাল রয়েছেন। কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি (আওয়ামী লীগের) আবদুর রহমান বদির তিন বছর সাজা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল চলমান, বাস্তবতা হচ্ছে তিনিও এমপি পদে বহাল আছেন। কাজেই নিম্ন আদালতে সাজা হলেই কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না-বিষয়টি চূড়ান্ত নয় বলেই ধরে নেয়া যায়।’ এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদেও ‘হইবার’, ‘থাকিবার’ ইত্যাদি কথা বলা আছে। এখন কথা হলো সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল থাকার যেসব উদাহরণ সবার সামনে আছে, স্বাভাবিক হিসাবে সেই সুযোগ খালেদা জিয়ারও থাকার কথা। কিন্তু এরপরও কথা থেকে যায়।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ৬৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি (ক) কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন; (খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন; (ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বত্সরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।’

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মামলায় ন্যায়বিচার পেতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন ছাড়া সামনে কোনো উপায় দেখছে না দলটি। তারা মনে করছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের রায়ে কী হয়, এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কারণ খালেদা জিয়ার মামলার রায় পরবর্তী সময় বিএনপির জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানেরও দেশে ফেরার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, আন্দোলন ছাড়া সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। তবে আন্দোলনের বিষয়ে দলটির কর্মপরিকল্পনা এখনও ঠিক হয়নি।

প্রসঙ্গত, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া এ মামলায় জামিনে আছেন। তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে।