স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৭ জেলার পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। ওইসব জেলার পরীক্ষা ফের নেয়ার সুপারিশ করেছে প্রশ্ন ফাঁস তদন্তে গঠিত কমিটি। গত ৮ নভেম্বর ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশের পর টনক নড়ে সরকারের। দীর্ঘ তদন্ত করে ময়মনসিংহ ও সাতক্ষীরাসহ ১৭টি জেলায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পায় কমিটি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি ওই জেলাগুলোতে নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণসহ প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও সুপারিশ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সংবাদপত্রে প্রকাশ এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন আটকের পর গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) নিয়োগ কমিটির জরুরি বৈঠকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। নিয়োগ কমিটি মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার ও পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করে। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার জন্য উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আলমগীরকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।