সু চির অনুমতিতেই রোহিঙ্গা নিধন হয়েছে : জাতিসংঘ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের অনুমোদন সে দেশের নেত্রী অং সান সু চির অনুমোদনেই হয়েছে বলে ধারণা করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রা’দ আল-হোসেইন।
এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো দেখভাল করে জাতিসংঘের এই প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রধান হচ্ছেন জেইদ রা’দ আল-হোসেইন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, তা অবশ্যই দেশের উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।’
জেইদ রা’দ আল-হোসেইন বলেন, ‘এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময়ে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।’ যদিও এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অং সান সু চি, যিনি একসময় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
লিবিয়ায় মেয়রকে অপহরণ করে হত্যা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: লিবিয়ার বন্দর নগরী মিসরাতার মেয়র মোহাম্মদ এশতেওয়িকে অপহরণ করে হত্যা করেছে এক বন্দুকধারীরা। তুরস্ক সফর করে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপহৃত এশতেওয়ির মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে যায় হত্যাকারী।
লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিসরাতা সহিংসতাপ্রবণ দেশটিতে নিরাপদ ও স্থিতিশীল বলে গণ্য। কিন্তু চলতি বছরে মেয়রকে বেশ বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জানা গেছে, তুরস্ক থেকে ফেরার পরে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্দুকধারীরা তাড়া করে তাকে অপহরণ করে। লিবীয় কর্মকর্তা আবুবকর আলহ্রাইশ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যে নিরাপত্তা থাকে বিমানবন্দর থেকে নামার পরে সেটা গ্রহণ করেননি মেয়র।
চারজন বন্দুকধারী মেয়র ও তার ভাইকে হামলা করে, মেয়রের ভাইয়ের পায়ে গুলি করে মেয়রকে অপহরণ করা হয়। মেয়রের ভাই বেঁচে যান, ৩০ মিনিট পরে মিসরাতার আল সাফওয়া হাসপাতালের সামনে মেয়রের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মুম্বাইয়ে মিষ্টি দোকানে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১২
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের মুম্বাইয়ের একটি মিষ্টির দোকানে আগুন লেগে ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে। নিহতরা সবাই মিষ্টির দোকানের কর্মচারী এবং সেখানেই তারা থাকতো। গতকাল সোমবার ভোর চারটার সময়ে দোকানের নিচতালায় আগুন লাগে তাতে উপরে থাকা মানুষগুলো আটকা পড়ে যায়। আগুন লাগার সময়ে ১৫ জন শ্রমিক ছিলো সেখানে। বৈদ্যুতিক তার, ফার্নিচারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। সেখানে এখনো উদ্ধার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। নিহতদের এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণও এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
ইয়েমেনে বিয়ে বাড়িতে সৌদি জোটের হামলা : নিহত ১০
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইয়েমেন বিয়ে বাড়িতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় একই পরিবারের ৮ জন নারী ও দুই শিশু নিহত হয়েছে। হুথি নিয়ন্ত্রিত মারিব প্রদেশে গত রোববার বিয়ে থেকে ফেরার পথে তাদের গাড়িতে বিমান হামলা হয়। নিহতরা সবাই নারী এবং সবাই একই পরিবারের সদস্য। তবে নিহতদের সবার বয়স ও তাদের সঙ্গে কোনো পুরুষ ছিল কি না সেটা জানা যায়নি। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি তারা কখনো বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে হামলা করে না। এই বিষয়ে রয়টার্স থেকে ই মেইলে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও কোনো উত্তর দেয়নি।
ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আবু-রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ২০১৫ সাল থেকে বিমান হামলা করে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহিংসতায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত অথবা আহত হয়েছে। ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ১০ লাখ মহামারীতে পরিণত কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।