স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার সময় ছাড়পত্র বাবদ রোগীর নিকট থেকে ২০টাকা হারে আদায় শুরু করেছেন স্বেচ্ছাসেবক রতন। গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র রোগী ২৬ জনের প্রায় সকলকেই ২০ টাকা হারে গুনতে হয়েছে। রশিদ ছাড়াই খানেকটা জোর করে ছাড়পত্র বাবদ ২০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে মর্মে রোগীদের অনেকেই অভিযোগ করে প্রতিকার কামনা করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিল মেডিসিন ওয়ার্ডে ছাড়পত্র দেয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক রতনের টাকা আদায়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, চিকিৎসকের নিকট থেকে ছাড়পত্র সেবিকারা সংগ্রহ করেন। সেবিকাদেরই তা রোগীর বা রোগীর লোকজনের হাতে দেয়ার কথা। ওই ছাড়পত্র একজন স্বেচ্ছাসেবীর হাতে যাবে কেন? তাছাড়া কোনো স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালে টাকা নেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মাঝে মাঝেই দালালচক্রের উৎপাত বৃদ্ধি পায়। কিছু স্বেচ্ছাসেবীর বিরুদ্ধেও দালালির অভিযোগ ওঠে। এবার দালালি নয়, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর ছাড়পত্র প্রদানের সময় জনাপ্রতি ২০ টাকা হারে অনেকটা জোর করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ফিমেল ও মেল মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ২৬ জনের মতো রোগী ছাড়পত্র নেন। এদের মধ্যে বড় গাংনীর ইদ্রিস আলী, আলুকদিয়া আকন্দবাড়িয়ার শামসুল আলম, হোসেনপুরের আরিফুল ইসলাম, জালশুকার মিঠু বিশ্বাস ও আসমনাখালীর হারুন অর রশিদসহ অনেকেই ক্ষোভের সাথে অভিযোগ তুলে বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ছাড়পত্র বাবদ টাকা নেয়া হয় এতোদিন শুনিনি। এখন রশিদ ছাড়াই স্বেচ্ছাসেবক জনপ্রতি ২০ টাকা হারে আদায় করছে। টাকা না দিলে উগ্র আচরণ করছে।