মেহেরপুরে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা

বঙ্গবন্ধু প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কটুক্তি!

মেহেরপুর অফিস: বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানিকর অভিযোগ তুলে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মেহেরপুরের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য লাভলী ইয়াসমিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকারসহ দেশকে ভারতের কলোনি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
মামলার বাদী গত ১১ ডিসেম্বর ইউটিউবে সেই বক্তব্য দেখে ও শুনে মনে করেন ওই বক্তব্যের কারণে দলের এবং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। একজন সচেতন নাগরিক, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী হয়ে বাদী আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন।
মামলায় বাদীর পক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল আলমের নেতৃত্বে অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন, অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, অ্যাড, এটিএম আসাদ, অ্যাড. রাশেদুল হক জুয়েল, অ্যাড. আবদুল্লাহ আল মামুন রাসেলসহ আওয়ামী পরিষদের একদল আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মীনা পাল, গাংনী উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি নূরজাহান বেগম, জেলা মহিলা আ. লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজা খাতুন, সদর থানা মহিলা আ. লীগের যুগ্ম সম্পাদক বেদেনা খাতুন, শহর মহিলা আ. লীগের সভাপতি রেহেনা মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক সফুরা খাতুন, জেলা আ. লীগের সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, মামলাটি এখনো থানায় পৌঁছেনি। হাতে পেলে কোর্টের আদেশ মোতাবেক মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে জমা দেয়া হবে।