বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট নির্বাচনে হুমায়ুন কবীর মালিক পরিষদের প্যানেল পরিচিতি বিবৃতিতে সেক্রেটারি পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেছেন, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট যেমন কারো ব্যক্তিগত বা পৈত্রিক প্রতিষ্ঠান নয়, তেমনই প্রতিষ্ঠানটি কারো একক নয়। অথচ প্যানেল পরিচিতির নামে যেভাবে একক কৃতিত্বের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে আর কারো কোনো অবদানই নেই। অথচ এই আমি সেই ১৯৯১ সাল থেকেই কমিটিতে রয়েছি। উন্নয়নে অবদান রেখে সকল কর্মকা-েরই অংশিদার হয়েছি।
হুমায়ুন কবীর মালিক বলেছেন, আমার প্যানেলে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, লিটু বিশ্বাস, হাবিবুল্লাহ জোয়ার্দ্দার ছটি, অ্যাড. তসলিম উদ্দিন ফিরোজ ও নূরুন্নাহার কাকলী। সম্প্রতি প্যানেল পরিচিতির নামে লিখিত যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা উপস্থাপক প্রতিদ্বন্দ্বী সেক্রেটারি পদপ্রার্থীর মনগড়া বক্তব্য হওয়ায় তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেননা, আমি ১৯৯১ সাল থেকে কমিটিতে রয়েছি। আরও যা করা সম্ভব হতো, কেনো সম্ভব হয়নি তা নির্বাচনের মধ্যে পত্রস্থ করে কাউকে খাটো করতে চাইনে। শুধু বলতে চাই, সেক্রেটারি ফজুলর রহমান সাহেব নিজেইে স্বীকার করেছেন আমরা যখন দায়িত্ব নিই তখন পরিত্যক্ত ভবন ছিলো, জনতা ব্যাংকে ৬ দশমিক ৩৭ পয়সা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। অথচ তিনিই একসময় পত্রিকায় বলেছেন, এই রেডক্রিসেন্ট চক্ষু হাসপাতলের জায়গা সভাপতি, রেডক্রেসিন্টের নামে ক্রয়কৃত। তাহলে ৬টি দলিলমূলে ৩৩ শতক তথা ২০ কাঠা জমির মূল্য ৪৮ হাজার টাকা তখন কে দিলো। ওই জমি দান করলেও তখন দাম ধরে রেজিস্ট্রি করতে হতো। অথচ ২৭ বছর সেক্রেটারি সেই দানের সবই অস্বীকার করে এখন সব কিছুর উন্নয়নেই তার অবদানের কথা তুলে ধরে শুধু নিজের নয়, নিজের প্যানেলভুক্তদেরও কৃতিত্বের অংশিদার করে তুললেন। ফলে সময় স্বল্পতার কারণে আনুষ্ঠানিক প্যানেল পরিচিতির বদলে সকলের জ্ঞাতার্থে ওইসব মনগড়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে প্যানেল পরিচিতি বিবৃতিতে ইতঃপূূর্বে প্রতিষ্ঠানটির জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে যাদের বিশেষবাসে স্মরণীয় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ইসলাম উদ্দিন মালিক যখন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন তখন তিনি ১শ টন গম বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্বিতীয় তলার গাঁথুনি, ছাদ ঢালাই প্লাস্টার ও সীমনা পাচির ও গেট নির্মাণ করা হয়। ২ লাখ টাকা দিয়ে ওই সময় চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা মোতাবেক আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়। একজন প্রথমশ্রেণির ঠিকাদার হিসেবে আমি এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে কতটুকু কাজ করেছি তা ঢাকঢোল পিটিয়ে না বললেও সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই অজানা নয়। কারো অবদান অস্বীকার করা মানে অকৃতজ্ঞ। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তখনই উন্নয়ন হয় যখন সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকে। কোনো কমিটির কোনো একজনের সব কৃতিত্ব দাবি এবং দীর্ঘদিন ধরে একই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আসন্ন নির্বাচনে সকল ভোটার সুচিন্তিত রায় দেবেন বলেই আমি আশা করি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা এবং ক্ষেত্রবিশেষ সেচ্ছাচারিতা মেনি নিতে পারিনি বলেই নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে প্রার্থী হওয়া।