চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে আয়া পদে চাকরি

তদন্ত করলেন মহাপরিচালক নিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তকর্তা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ও বয়স কমিয়ে আয়া পদে চাকরি গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের গাড়ি চালক নেছার উদ্দিনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত ওই অভিযোগ করেন এক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। গত রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অভিযোগ তদন্তে আসেন মহাপরিচালক নিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নড়াইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুল আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেছার উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের গাড়ির চালক। তার দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রী কোহিনুর খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া হিসেবে দীর্ঘ ৪বছর ধরে কর্মরত। তাদের দুজনের বাড়িই মেহেরপুর গাংনী উপজেলায়। নেছার উদ্দিন তার স্ত্রী কোহিনুরের বয়স কমিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন বেলগাছী ঈদগাপাড়ার ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে আয়া পদে নিয়োগ লাভে সহযোগিতা করেন। কোহিনুর খাতুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আযান গ্রামের মৃত কুড়–ন আলীর মেয়ে। তার জন্ম সনদ ও গাংনীর চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ইস্যুকৃত প্রশংসাপত্রে তা আরও স্পষ্ট করা আছে। তারা যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন বেলগাছী ঈদগাপাড়ার বাসিন্দা নন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর একটি প্রত্যয়ন দিয়েছেন। এছাড়া গাড়ি চালক নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওই দফতরে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর জানাজানি হলে সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক লিখিতভাবে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। গত রোববার বিষয়টি তদন্তে আসেন মহাপরিচালক নিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নড়াইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুল আলম। তিনি মাথাভাঙ্গাকে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দফতরের মহাপরিচালক তাকে বিষয়টির তদন্তভার দেন। দাফতরিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময়ে মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করবেন বলেও জানান তিনি।