চুয়াডাঙ্গা চেম্বার পরিচালক বিশিষ্ট ঠিকাদার সদালাপী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার ইন্তেকাল : আজ দাফন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট ঠিকাদার চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৭ বছর। জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির বড় বোনের বড় ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মরহুম ইউনুচ আলী জোয়ার্দ্দার ও রাবেয়া জোয়ার্দ্দারের বড় ছেলে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার অকালমৃত্যুর খবর গতরাতেই ছড়িয়ে পড়লে তার মুক্তিপাড়াস্থ বাড়িতে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপির বড়ভাগ্নে হিসেবে চুয়াডাঙ্গার অনেকেই তাকে মামা বলে যেমন ডাকতেন, তেমনই তিনি ছিলেন সদালাপি। মুখে সব সময় মৃদ্যু হাসি লেগেই থাকতো। তিন কন্যার জনক ছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরও অনেকের সাথেই তিনি কথা বলেছেন। রাত আনুমানিক পৌঁনে ৯টার দিকে তিনি বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃতদেহ নিজ বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হলে নিকটজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। নেমে আসে শোকের ছায়া।
জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার তিন কন্যার মধ্যে বড় মেয়ে তাসনীম জোয়ার্দ্দার প্রেমা স্বামী সংসার নিয়ে লন্ডন প্রবাসী। অপর দু’মেয়ে তাসফিয়াত জোয়ার্দ্দার নেহা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছোট মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে ছোট দুমেয়ের কান্না থামানোয় যাচ্ছে না। ওদের আহাজারির কাছে সকলেই যেনো হারিয়েছে সান্তনার ভাষা। জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা তিনভাই তিন বোনের মধ্যে ছিলেন বড়। অপর দু’ভাই আলী রেজা সজল ও আলী মর্তুজা তুহিন সুপ্রতিষ্ঠিত। মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল তাৎক্ষণিক শোক প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা একজন সাদামনের ভালো মানুষকে হারালাম। শোক জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সকলকে নামাজে জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।