গাংনী প্রতিনিধি: প্রধান শিক্ষকের নির্মম নির্যাতনে রাশিদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রের হাত থেঁতলে গেছে। শিক্ষকের উপর্যুপরি লাথির আঘাতে বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছে ওই ছাত্র। প্রতিবাদ করায় ছাত্রের মাকে গালিগালাজ করে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেন শিক্ষক। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার করমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আহত রাশিদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয় থেকে এবার প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দিচ্ছে। সে কমরদী গ্রামের দিনমজুর কৃষক আমিরুল ইসলামের ছেলে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে ছাত্ররা খেলার ছলে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাশিদুলকে লাথি মারেন। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও ক্ষান্ত হননি শিক্ষক। শিশুটির বাঁ হাতের ওপরে আরও কয়েকটি লাথি মারেন। খবর পেয়ে ছাত্রের মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। কয়েকদিন কেটে গেলেও হাতের যন্ত্রণা দূর না হলে বামন্দীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে এক্সরে প্রতিবেদনে হাতে গুরুতর ক্ষত ধরা পড়ে। ছেলেকে চিকিৎসা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে দরিদ্র পরিবার। হাতের আঘাতের যন্ত্রণা নিয়েই প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দিচ্ছে রাশিদুল।
রাশিদুলের মা জাহানারা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে তাঁর বাড়িতে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি রাজি না হলে তিনি আমার ও আমার ছেলের ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমার ওপর রাগের জের ধরে তিনি আমার ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। আমি এর বিচার চাই। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, শুভ নামের এক ছাত্র রাশিদুলকে মেরেছে, আমি মারিনি।