স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। চুয়াডাঙ্গার নফরকান্দি গ্রামের গৃহবধূ সাহেরা বেগম গতকাল ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় মারা যান। সাহেরা বেগমের লাশ কৌশলে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে ডাক্তারের সহকারী সাইদুর রহমান রানা সটকে পড়েন বলে রোগীর লোকজনের অভিযোগ।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি গ্রামের কফিল উদ্দিনের স্ত্রী সাহেরা বেগম (৪০) জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে গত বুধবার সকালে জেলা শহরের হাসপাতাল রোডের চুয়াডাঙ্গা এক্স-রে ক্লিনিকে ভর্তি হন। ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে ওই দিনই বাড়ি ফেরেন সাহেরা বেগম। বাড়ি ফিরে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সাহেরা বেগমকে আবারও একই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ সময় ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী ক্লিনিকে উপস্থিত না থাকায় তার পরামর্শে সহকারী সাইদুর রহমান রানা একটি গ্যাস্ট্রিক ও ব্যথা নাশক ইনজেকশন দেন। রোগীর শরীরে ইনজেকশন দেয়ার পরপরই সকাল ১০টার দিকে সাহেরা বেগম নেতিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক বুঝে সাইদুর রহমান রানা কৌশলে সাহেরা বেগমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে ক্লিনিক থেকে নিয়ে যান। পরে সাহেরা বেগমকে নিস্তেজ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সটকে পড়েন সাইদুর রহমান রানা। এরপর জরুরি বিভাগের ডা. কানিজ নাঈমা রোগী সাহেরা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। তিনি জানান হাসপাতালে আনার আগেই সাহেরা বেগম মারা গিয়েছিলেন। সাহেরা বেগমের ছেলে হাসিবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে আমার মা মারা গেছেন। সাইদুর রহমান রানা আমার মায়ের শরীরে দুটি ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে সাথেই আমার মা মারা যান। এ ব্যাপারে ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, সাহেরা বেগমের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই চিকিৎসা চলছিলো। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিই। ভুল চিকিৎসার প্রশ্নই ওঠে না।