এনায়েতপুর বাড়াদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর বাড়াদী আলহাজ্ব মীর খোস্তার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ৩১ জন শিক্ষার্থীর নাম ও বিষয়সহ নানা তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে তা সংশোধনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ভুল সংশোধনের জন্য টাকা নিয়েও সংশোধন না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক শফি উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এনায়েতপুর বাড়াদী আলহাজ্ব মীর খোস্তার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩১ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর (সম্প্রতি পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে) রেজিস্ট্রেশন করার সময় নাম, ঠিকানা, সাবজেক্টসহ নানা তথ্য ভুল করা হয়। ফলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রেও যথারীতি ভুল তথ্য রয়েছে। এ সকল ভুল সংশোধনের জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একাধিকবার করে টাকা নেয়ার পরও তা সংশোধন করা হয়নি। এনায়েতপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ওমর ইসলাম এ সকল অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী ৩১ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে আসমিনা খাতুন, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। রেজিস্ট্রেশনের সময় আসমিনা খাতুনের নাম ও সাবজেক্ট স্কুল কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে পাঠানো হয়েছিলো। পরে নাম ও সাবজেক্ট সংশোধন করার কথা বলে প্রথমবার ৪৫০ টাকা এবং কিছুদিন পর আবারও ৪৫০ করে মোট ৯০০ টাকা দেয়ার পরও নাম ও সাবজেক্ট সংশোধন না করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তিনি বিষয়টি জানার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন। শুধু আসমিনা খাতুনই না, ওই ক্লাসের ৩১ শিক্ষার্থীর সাথে একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকেও নাম সংশোধনের কথা বলে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অনেকের অ্যাডমিট কার্ডে ইসলাম ধর্মের পরিবর্তে হিন্দু ধর্ম চলে এসেছে। এতে সাংঘাতিক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয় শিক্ষার্থীরা।
এবার জেএসসি পরীক্ষা দেয়া ছাত্র নাঈম হোসেন, সবুজ ও মাফুজুর রহমান জানায়, শিক্ষকদের এ ধরনের ভুল আমাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। টাকা নেবার পরও শিক্ষকরা ভুল সংশোধনের পদক্ষেপ না নেয়ায় পরবর্তীতে জীবনে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে বলে তারা আতঙ্কে রয়েছে।