চুয়াডাঙ্গার জীবনার সেই অন্তঃসত্ত্বা গৃহপরিচারিকা কিশোরীর ঘটানো হয়েছে গর্ভপাত : মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবনার সেই অন্তঃসত্ত্বা গৃহপরিচারিকা কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুর গ্রামের দরিদ্র কিশোরী কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ বিশ্বাসের ছেলে মণ্টু বিশ্বাসের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। ওই কিশোরীর সরলতার সুযোগে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মণ্টু। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত ঘটনোর চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে কিশোরী। মা বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে। আইনি সহায়তা চেয়ে চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করে কিশোরী। এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মণ্টু ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে রাখে। গত ১৭ নভেম্বর মন্টুর স্ত্রী মাফুজা ও ছেলে মাসুদ ওই কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক ওষুধ খাওয়ায়। কিশোরীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরদিন ১৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনদিন পর বাড়ি ফেরে কিশোরী। চিকিৎসক জানিয়েছে কিশোরীর গর্ভপাত হয়ে গেছে। গর্ভপাতের শিকার কিশোরী অভিযুক্ত মন্টুসহ তার স্ত্রী ও ছেলেকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা করে।

মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার জানিয়েছেন, সংস্থার সহায়তার মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাবতীয় আইনি সহায়তা দেয়া হবে। মামলার কারণে এখন বাদী বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

Leave a comment