স্টাফ রিপোর্টার: কার্তিক শেষে বুধবার শুরু হয়েছে অগ্রহায়ণ। এ সময় শীতটা একেবারে দোরগোড়ায় থাকে। হেমন্তের আকাশ থাকে হালকা শাদা মেঘে ভরা। কিন্তু সে আকাশে গতকাল বুধবার ছিলো ভারী মেঘ। ঝরেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদফদর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে এভাবে বৃষ্টি পড়ছে। এই বৃষ্টি আরও দু-একদিন থাকতে পারে। বৃষ্টি চলে গেলে জেঁকে বসতে পারে শীত।
শীতের তীব্রতা না থাকলে প্রকৃতির মেঘলা রূপ ধারণ করায় গরম অবশ্য খানিকটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদফদরের বুধবারের সকালের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশে বেশির ভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। এ কারণে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মুষলধারে পড়তে শুরু করেছে। এতে দিনভর কখনও থেমে আবার কখনও টানা বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাট-বাজারে সকাল থেকে দোকানপাট খুললেও বৃষ্টির কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় কর্মব্যস্ত অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। গ্রামের নিচু এলাকাগুলোর কিছু কিছু স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলো ভাঙা থাকায় ছোট-ছোট গর্তে পানি জমে গেছে অনেক স্থান কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছে কোমরপুর, কার্পাসডাঙ্গা, বাঘাডাঙ্গা, মিশনপাড়া, আরামডাঙ্গা, কানাইডাঙ্গা গ্রামসহ অন্যান্য পাড়া-মহল্লায় বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছে এলাকাবাসীর। এতে করে স্কুল-কলেজগামীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। এছাড়া রাস্তার মধ্যে ছোট থেকে বড় ধরনের গর্ত থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। শহরের ড্রেনেজগুলেতে ময়লা-আবর্জনা আটকে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি কমতে সময় লাগছে অনেক।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, সামান্য গুড়িঁ গুড়িঁ বৃষ্টি হলেই রাস্তায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আটকে থাকা বৃষ্টির পানি সরতে সরতে দিন পার হয়ে যায়। এলাকার ড্রেনেজগুলোর ময়লা-আবর্জনা অপসারণ না করার কারণে আটকে থাকা বৃষ্টির পানি সরতে সময় লাগছে। আমরা মনে করি ড্রেনেজগুলো পরিষ্কার করলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসবে।