চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনায় মামলা : মীমাংসা করতে নারাজ বাদী

স্টাফ রিপোর্টার: পূর্ব বিরোধের জের ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহ ও গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেও বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিরসন করার কথা থাকলেও মামলার বাদী সালিসে উপস্থিত হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা রাজনৈতিক কারণ হওয়ায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ও গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কৃষিশিক্ষা পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ববিরোধের জের ধরে তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে গায়ে পেতে বিবাদ সৃষ্টি করে মারপিট করে। এতে ওই বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী পুষ্পি, মাসুরা, বিথী, শাবনুর, তাসলিমা, কুসুম, লাবণী, রুনা, সাদ্দাম মিয়া, ইমন হোসেন, রশিদুল, রিপন, শাকিব, রাজা আহমেদ, আবদুল্লাহ মামুন ও তানভীর হোসেন গুরুতর আহত হয় বলে প্রধান শিক্ষক জানান। এদের মধ্যে রাজা, ইমন, শাকিব, সাদ্দাম, তাজ ও কুসুমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আরও জানান, শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয় বখাটেরা আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমকেও মারধর করেছে। এ ঘটনার পর বেলা ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ জেএসসি পরীক্ষার্থীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেনকে বলেন। তাতে মনগলে না গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিছু অভিভাবকের। নির্বাহী অফিসারের কথার পাশ কাটিয়ে একজন অভিভাবক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জন অভিভাবকের নামে মামলা করেন। গতকাল বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। সেখানে তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা উপস্থিত হলেও গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম অনুপস্থিত থাকেন। জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যানকে জানান, আমি মামলা করেছি, মামলায় যা হয় হবে। আমরা মারের বদলে মার চাই। একটি সূত্র বলেছে, মারামারি করলো শিক্ষার্থীরা আর মামলা হলো অভিভাবকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের মারামারি এখন রাজনৈতিক ইসু হয়ে গেছে। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি এলাকার সচেতন মহল। কোমলমতি শিশুদের মারামারি এখন বড়দের বাড়াবাড়ি হয়ে দাড়িয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিরসন করার চেষ্টা করে ছিলাম, তা সম্ভব হয়নি।

Leave a comment