আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মচারী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুদ বাণিজ্যের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে লিডার পদে কর্মরত শরিফুল ইসলামের চড়া সুদে চাল বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। অতিরিক্ত দামে বাকিতে বিক্রি করা চালের দাম আদায় করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে লিডার পদে চাকরি করেন শরিফুল ইসলাম। প্রায় ২ বছরের অধিক সময় এখানে কর্মরত আছেন। কর্মব্যস্ততা না থাকার সুযোগে তিনি আলমডাঙ্গায় পেতে বসেছেন অবৈধ সুদের কারবার। আলমডাঙ্গার ক্যানেলপাড়া, দাসপাড়া ও হাউসপুরের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হতদরিদ্র পরিবার তার ভয়ঙ্কর সুদের ব্যবসার অসহায় শিকার। তিনি অবশ্য নগদ টাকা সুদে খাটান না। গ্রামের সুদখোর ম-লদের মতো চড়া সুদে চাল দেন। ক্যানেলপাড়ার আব্দুস সালাম ও তার মা আঙ্গুরী খাতুন, হাউসপুরের হোসেন আলী, আনন্দধামের দলিত সম্প্রদায়ের দাসপাড়ার সনোসহ বহুপরিবার তার বেপরোয়া সুদ বাণিজ্যের শিকার।
ওয়াকিবহালসূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম পোড়াদহের কবুরহাট থেকে রেশনের চাল কেনেন। পরে তা চড়া সুদে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারদের কাছে বাকিতে বিক্রি করেন। সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে প্রতিদিনই তিনি কারও না কারও সাথে বিবাদে জড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ৪ নভেম্বর বিকেলে তিনি দাসপাড়ার দরিদ্র ভ্যানচালক পরেশ কুমারের ভ্যান কেড়ে নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সুদের টাকা সময় মতো পরিশোধ না করতে পারার কারণে তার ভ্যান কেড়ে নেন। পরে অনেকের অনুরোধে ছেড়ে দেন বলে জানা যায়।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার মকলেসুর রহমান বলেন, বিষয়টি তারাও জানেন। নিষেধও করেছেন। কিন্তু শরিফুল ইসলাম অস্বীকার করেন। এসব ব্যবসা বাইরে করে। সবকিছু জানাও যায় না। অভিযোগ কেউ করতে আসে না।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বলেন, আনন্দধামে আজমের নির্দেশে তিনি পরেশের ভ্যান আটকে দিয়েছিলেন। সুদের ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তিনি দরিদ্র মানুষ। এক ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যারিস্টারি ও আরেক ছেলে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুলে পড়ে। তিনি কুষ্টিয়া থেকে চাল ও রেশনের চাল কিনে বাকিতে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতেন। কিন্তু ৩ মাস আগে স্টেশন মাস্টার নিষেধ করার পর আর সুদের ব্যবসা করছি না।

Leave a comment