স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও সব পরীক্ষা দিতে পারলো না মেধাবী ছাত্রী কহিনুর খাতুন। অভিশপ্ত বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে সে। মাত্র দুটি পরীক্ষা দেয়ার পরই শুক্রবার তাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে রোববার ইংরেজি ১মপত্র পরীক্ষায় তাকে অনুপস্থিত দেখে শিক্ষকরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানেন কহিনুর বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। শুধু কহিনুর নয় এমন অসংখ্য জেএসসি পরীক্ষার্থী আলমডাঙ্গায় বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছে বলে কেন্দ্র সচিবরা জানান।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের মিজানুর শরিফের মেয়ে কহিনুর খাতুন (১৩) স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে এবার মুন্সিগঞ্জ একাডেমি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বুধ ও বৃহস্পতিবার সে বাংলা ১ম ও বাংলা ২য়পত্র পরীক্ষা দেয়। গতকাল রোববার ইংরেজি ১মপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে কহিনুর। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে শুক্রবার কহিনুরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতেও দেয়নি স্বামী পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার হাসিবুল জানান, আমাকে বিয়ের বিষয়টি জানানো হয়নি। স্থানীয় জেহালা ইউনিয়নের কাজী আনোয়ার হোসেনও বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন। মুন্সিগঞ্জ একাডেমি কেন্দ্রকর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু কহিনুর নয়, যেসব ছাত্রী পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছে তাদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় এমন অর্ধশত জেএসসি পরীক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে বলে তাদের ধারণা। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান মাথাভাঙ্গাকে জানান, কহিনুর জেএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে যদি বিয়ে দেয়া হয়, তা অন্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।