চুয়াডাঙ্গা ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরে কুতুবপুর ইউনিয়নে ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মজিদ ও নৈশ্যপ্রহরী সবুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মজিদ প্রায় ৬ মাস যাবত নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের ক্লাস কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে বিকাল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ান। আব্দুল মজিদ নিজে বিদ্যালয়ের সভাপতির ক্ষমতার বাহুবল নিয়ে বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফ্যান চালিয়ে অপচয় করে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে। এদিকে বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী আবুল কালাম আজাদ সবুজ রাতে ডিউটি না করে বাড়িতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মাসে মাসে বেতন হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ভুলটিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মহাসিন আলী অভিযোগ করে বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি কারো কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে ৭মাস যাবত বিদ্যালয়ে ভোর ৬টা হতে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ও বিকাল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফ্যান ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমরা নিষেধ করতে গেলে তিনি বলেন আমি প্রাইভেট পড়াব তাতে আমার যা কিছু করার করে নিও। লিখিত অভিযোগ করে ডাক্তার মশিউর রহমান বলেন বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী সবুজ হোসেন রাতে নাইট ডিউটি না করে বাড়িতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সরকারির রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মাসে মাসে বেতন উত্তোলন করে। বিষয়টি নিয়ে সবুজের সাথে কথা বললে সবুজ বলে আপনি কি প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন নাকি, যে আপনার কথামতো চলতে হবে। যা পারেন তা আপনি করে নিয়েন। ভুলটিয়া গ্রামবাসী অনেকে অভিযোগ করে বলে নৈশ্যপ্রহরী সবুজের কাজ বিদ্যালয়টি পাহারা দেয়া। কিন্তু সে কি করে রাতে পাহারা না দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আরামের সাথে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মাস গেলে বেতন তোলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মেদ আলী জানান সভাপতি আব্দুল মজিদ সাহেব সমাপনী পরীক্ষার সময় ছেলে মেয়েদের ভালো রেজাল্ট করানোর জন্য প্রাইভেট পড়িয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে সে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে প্রাইভেট পড়ায় কি না সেটা আমার জানা নেই। আর নৈশ্যপ্রহরী আবুল কালাম আজাদ সবুজ তিনি দিনে দফতরি কাজ করে, রাতে পাহারার জন্য তাকে বলা হয়েছে। কিন্তুু তার বাড়ি স্কুলের নিকটে হওয়াতে মাঝে মধ্যে রাতে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাড়িতে যেয়ে থাকতে পারে। তবে একপক্ষ ওদের বিরুদ্ধে রেশারেশি করে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। বিষয়টিতে অভিযোগকারীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।