পাটের বিকল্প সোনালি আঁশ উদ্ভাবন করলেন রাবি শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার: সোনালি আঁশের কথা বললেই সবার মনে ভেসে ওঠে পাটের কথা। যে পাটের ছবি রয়েছে দেশের জাতীয় প্রতীকেও। সেই পাট ছাড়াই বিকল্প উপায়ে সোনালি আঁশ পাওয়ার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। উদ্ভাবিত এই আঁশ খুবই আরামদায়ক ও শক্ত বা স্থায়িত্বশীল। পাট থেকে পাওয়া আঁশের চেয়েও কিছুটা উজ্জ্বল। ফলে তা দিয়ে তৈরি পোশাকও হবে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
ঝোপ-ঝাড়ে কিংবা পতিত স্থানে কম খরচে তুলনামূলক পরিচর্যা ছাড়াই জন্মায় এমন এক ধরনের উদ্ভিদ থেকে এই আঁশ পাওয়া যাবে। তবে গবেষণা কাজ মধ্য পর্যায়ে থাকলেও কৌশলগত কারণে উদ্ভিদের নাম এখনই বলতে নারাজ এই গবেষক। তিনি এরই মধ্যে ফাইবারটি হাতে পেয়েছেন। তবে এটিকে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য আরও অ্যাকাডেমিক গবেষণার প্রয়োজন আছে বলছেন তিনি।
একইসঙ্গে এই গবেষণা সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট তহবিল দরকার। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হলে ব্যাপকভাবে টেক্সটাইল এবং রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহার করা যাবে।
অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রায় তিন বছর গবেষণা করে একটি গাছ থেকে তিনি এই ‘ফাইবার’র সন্ধান পান। এই গাছ বাংলাদেশের প্রকৃতিতে বিশেষ করে ঝোপ-জঙ্গলে মধ্যে পাওয়া যায়। এটি পাটের বিকল্প হিসেবে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। পাট দিয়ে যে কাজ হয়, তার সব কাজই এই আঁশ দিয়ে হবে।
তিনি বলেন, যদি এই ফাইবারের ওপর আমি অ্যাকাডেমিক গবেষণা সম্পন্ন করতে পারি, তবে এটি বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশে। আমি এই ফাইবারের একটি ব্র্যান্ড নাম দিয়েছি ‘আর কে ফাইবার’।
গবেষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই গবেষণা কাজটির শেষ নামাতে ভালো পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সেটা হতে পারে পৃথকভাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, অ্যাকাডেমিক বা সরকারিভাবে।’
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম রাবির বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন। তিনি বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সদস্য এবং ফার্মাসিউটিক্যাল জার্নালের চিফ অব ইকোনমিক ডিরেক্টর। তিনি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সারবিরোধী গবেষণার সঙ্গেও জড়িত।

Leave a comment