চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালচক্র আবারও বেপরোয়া

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালচক্র আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কাছে জিম্মি সাধারণ রোগীরা। দালালচক্রের দ্বারা প্রায় সাধারণ রোগীদের হতে হচ্ছে প্রতারিত। দালালচক্রের কালোথাবা থেকে রেহায় পাওয়ার উপায় খুজছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না ওদের কার্যক্রম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এদের বিচরণ হাসপাতাল এলাকায়। চিকিৎসক কোনো পরীক্ষা না দিলেও কিছু দালাল সুযোগ বুঝে অসহায় রোগীর কাছ থেকে কৌশলে কিছু পরীক্ষা করিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। রোগীর সাথে থাকা লোকদেরকে বলা হচ্ছে চিকিৎসক বলেছে আপনার রোগীকে কিছু পরীক্ষা করাতে। রোগীর সাথে থাকা লোকজন মনে করছে হয়তো সঠিক। কারণ দালালরা সব সময় থাকে চিকিৎসকের আশেপাশে। গত ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় দামুড়হুদার ডুগডুগি ঘোষপাড়ার শ্যামলের স্ত্রী দেবকিনি ঘোষ (৩০)। চিকিৎসক তার কোনো পরীক্ষা না দিলেও লালু নামের এক দালাল তাকে বলে ডাক্তার আপনাকে জরুরিভাবে ইসিজি করাতে বলেছে। অথচ প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের কোনো পরীক্ষার কথা উল্লেখ ছিলো না। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার আয়ুব আলীর স্ত্রী ফরিদা পারভীনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. আবুল হোসেন রোগীকে রক্ত পরীক্ষা করাতে দেন। সেখানে সাঈদ নামের এক সেচ্ছাসেবক বাইরের এক ডায়াগনস্টিক থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়ে পরীক্ষা করায়। পরবর্তীতে ওই রোগী কোনো বেড না পাওয়ায় সাঈদ তাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে সোয়াইনফ্লুর কেবিনে রাখার ব্যবস্তা করে।

পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বিষয়টি টের পেয়ে রোগীকে সরিয়ে দেয়। বিপদ আচ করতে পেরে সাঈদ হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করেছি। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দলালদের নির্মূলের জন্য দ্রুত অভিযান চালানো হবে।

Leave a comment