আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ১১ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণকারী ভাংবাড়িয়ার ২ সন্তানের জনক মিনারুলকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুকন্যার বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ১১ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণকারী ভাংবাড়িয়ার ২ সন্তানের জনক মিনারুলকে গতকাল ৮ অক্টোবর আসমানখালী তদন্ত থানা পুলিশ আটক করেছে। মিনারুল ভাংবাড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। সে মুরগি ব্যবসায়ী। এলাকাসূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম গত শুক্রবার দুপুরে একই পাড়ার ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শুকজানের ঘরে আটকে ধর্ষণ করে। শিশুটির পরিবার অভিযোগ করেছে, মিনারুল শিশুকন্যাটিকে শুকজানের ঘরে নিয়ে তুললে শুকজান বাইরে থেকে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখে।
এদিকে শিশুকন্যাকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে তার নানা শুকজানের বাড়ি গিয়ে তালা খুলে শিশুকন্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ জঘন্য ঘটনার পরও নির্যাতনের স্বীকার শিশুকন্যার পরিবার গত দু দিন থানায় অভিযোগ জানাতে পারেনি। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, ধর্ষকের বংশ এলাকায় প্রভাবশালী। তাছাড়া ফুলবগাদী গ্রামের তাঁরা সন্ত্রাসীকে তার প্রতিপক্ষরা গলা কেটে হত্যা করেছিলো, সেই তাঁরার ভাই বর্তমানে ভাংবাড়িয়ায় বসবাসকারী হারুন সন্ত্রাসী হুমকির মুখে নির্যাতনের শিকার শিশুকন্যার পরিবার থানায় যেতে সাহস পায়নি। তাছাড়া গ্রামের দু মেম্বার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইতঃপূর্বেও মিনারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের সালিসের নামে নাটক সাজিয়ে সে সময় তাকে রেহাই দেয়া হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে যার ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে, সেই শুকজানের সাথে কথা বলার সময় তিনি নিজেই ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানোর কথা স্বীকার করেন। অবশেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নির্যাতিত শিশুকন্যাকে সাথে নিয়ে তার বাবা আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই সময় নির্যাতিত শিশুকন্যা পুলিশের নিকট ঘটনা বর্ণনা করে। আজ সোমবার ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।