উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফুটবল জাদু প্রদর্শন করবেন খুলনার ফুটবল মানব মাসুদ রানা : শহরের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে বিগ বেলুন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে পর্দা উঠছে ১৫টি ম্যাচ ২১ দিনব্যাপী চলা এ ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও প্রচারের জন্য শুরু করা সময় হয়েছে কাউন্ট-ডাউন। জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে টুর্নামেন্টের নাম খচিত ব্যানার, ফেস্টুন ও বিগ বেলুন টানানো হয়েছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাড়তি আর্কষণ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বাস্তবরূপ দানকারী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ খুলনা থেকে নিয়ে এসেছেন ফুটবলের জাদু প্রদর্শনকারী ফুটবল মানব মাসুদ রানাকে। এক নাগাড়ে ৩২ ঘণ্টা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ফুটবল রেখে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটা-চলা করতে পারা মাসুদ রানা গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা এসে পৌঁছেছেন। ২১ বছর ধরে ফুটবল কৌশল প্রদর্শনকারী মাসুদ রানা খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বরুনা গ্রামের মৃত শামসুর রহমান মোল্লা ও মোমেনা বেগমের ৩ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট।
গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ফুটবল মানব মাসুদ রানার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, আমি ৮ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলা ফুটবল খেলা শুরু করি। তবে ১৬ বছর বয়স থেকে ফুটবলের প্রতি তার মোহ বেড়ে যায়। খুলনার বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভালো খেললেও আমাকে আমার যোগ্যতানুযায়ী জেলা টিম বা বিভাগীয় টিমে সুযোগ দেয়া হয়নি। আর্থিক সঙ্কট ও লোকবলের সুপারিশের অভাবে ভালো জায়গায় খেলতে না পেরে এক সময় ভেবেছিলাম ফুটবল খেলা ছেড়ে দেবো। কিন্তু আমার এক বড় ভাইয়ের কথায় ও আমার মায়ের দোয়া নিয়ে চিন্তা করলাম ভালো ফুটবলার না হতে পারলেও ফুটবলের নানা কৌশল আয়ত্ত করে নিজেকে পরিচিত করে তুলতে হবে। সেই ১৬ বছর বয়স থেকেই ফুটবল নিয়ে নানা কৌশল আয়ত্ত করতে থাকি। আর সেগুলো প্রদর্শন করে নিজেকে পরিচিত করার পাশাপাশি বিধবা মা ও ভাই-বোনদের মুখে খাবার জোগাড়ের জন্য নেমে পড়ি। সেই থেকে পথচলা। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় আমি আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে ফুটবল কৌশল প্রদর্শন করেছি। বাংলাভিশন টেলিভিশনে ফুটবল কৌশল প্রদর্শন করে সেখান থেকে আমাকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আমাকে ফুটবল মানব উপাধি দেয়া হয়। আমার ফুটবল কৌশল দেখে ওয়ালটন কোম্পানি আমাকে দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। তার বিনিময়ে আমাকে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। যা খুবই সামান্য। এই অর্থ দিয়ে আমার সংসার চলে না। তারপরও জীবন যতদিন আছে ততোদিন ফুটবল ও ফুটবলের কৌশল দেখিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। চুয়াডাঙ্গার ফুটবল প্রিয় দর্শক ও ফুটবরপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ রইলো আগামী ৬ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা নুরনগর জাফরপুর স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও খেলার মধ্য বিরতিতে ফুটবলের হাজারো কৌশল প্রদর্শন করবো। আপনারা অবশ্যই আসবেন।
এদিকে টুর্নামেন্টের বাড়তি আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বর মোড়ে ও নতুন স্টেডিয়ামের নিকট টুর্নামেন্টের নাম খচিত বিগ বেলুন টানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় কাউন্ট-ডাউনও গণনা করা শুরু হয়েছে।