দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকা থেকে বাদ তাজমহল!
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি ভারতের তাজমহল। আগ্রার এই ঐতিহাসিক সৌধটিকে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক বলে মনে করেন অনেকেই। তবে আগ্রার তাজমহলকে অবশ্য একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভারতে সফরে আসা ভিনদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের তাজমহলের রেপ্লিকা দেয়ারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, তাজমহল ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক নয়। আর এবার যোগী জমানায় উত্তরপ্রদেশের দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকা থেকেও বাদ পড়ল তাজমহল! তাজমহল শুধু একটি সৌধ নয়, এক টুকরো ইতিহাস। স্ত্রী মমতাজ মহলের মৃত্যুর পর, তার স্মৃতিতে আগ্রায় যমুনার তীরে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন মোঘল সম্রাট শাহজাহান। সেই স্মৃতিসৌধটি তাজমহল নামে পরিচিত। কালে কালে তাজমহল হয়ে উঠেছে চিরন্তন প্রেমের প্রতীক। ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মোঘল আমলের এই স্থাপত্যটিকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো।
কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতার পক্ষে ৯০ শতাংশ ভোট
মাথাভাঙ্গা মনিটর: কাতালোনিয়া সরকার সোমবার জানিয়েছে, স্পেন থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে কাতালোনিয়ায় যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় সেখানের ৯০ শতাংশ জনগণ এর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও মাদ্রিদ এ গণভোটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র জর্দি তুরুল জানান, ‘একটি প্রজাতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে আপনি কাতালোনিয়াকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান কি-না’ এমন প্রশ্নে এ অঞ্চলের ২০ লাখ ২০ হাজার লোক ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন। তিনি আরও জানান, মোট ২২ লাখ ৬০ হাজার লোক এ ভোটাভুটিতে অংশ নেন।
মিয়ানমারের পথে পথে ‘মুসলমানমুক্ত এলাকা’ সাইনবোর্ড
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাখাইনের বহু গ্রামের প্রবেশপথে দেখা মিলবে অদ্ভুত এক ধরনের সাইনবোর্ডের। তাতে বার্মিজ ভাষায় বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘মুসলমানমুক্ত এলাকা’। সাথে থাকে আরও নানা মুসলিমবিদ্বেষী কথাবার্তা। অবশ্য শুধু রাখাইন নয়, মিয়ানমারের অন্যান্য এলাকায়ও এমন সাইবোর্ডের দেখা মেলে প্রায়ই। মানবাধিকার সংগঠন বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক (বিএইচআরএন) এ রকম ২১টি সাইনবোর্ডের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেছে। সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। একইসাথে বলা হয়েছে, এ ধরনের মুসলিমবিদ্বেষী সাইনবোর্ডের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। অবাক করা বিষয় হলো, এসব বিদ্বেষমূলক সাইনবোর্ড ঝোলানোর জন্য স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়ে থাকে! মিয়ানমারের শান প্রদেশের ইয়াসাউক শহরে থেকে বিএইচআরএন’র তোলা একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘মুসলমানমুক্ত এলাকা’। তার নিচে তিনটি পয়েন্টে লেখা: ১. এই এলাকায় রাতে মুসলমানদের থাকার অনুমতি নেই। ২. মুসলমানদের সম্পত্তি বিক্রি বা কেনার অনুমতি নেই। কোনো মুসলমানকে বিয়ের অনুমতি নেই। এই বোর্ডটি লাগিয়েছে ‘দেশপ্রেমী যুবসংঘ’ নামে স্থানীয় একটি সংগঠন।
মিশরে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলার জবাব দিতে মিশরে মিয়ানমার দূতাবাসে ছোট্ট একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হাজম নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। রাজধানী কায়রোতে শনিবার এ বিস্ফোরণ ঘটার পর দিন রোববার এর দায় স্বীকার করে হাজম। তবে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবারের ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। স্থানীয় অধিবাসী ও গণমাধ্যম প্রাথমিকভাবে এ বিস্ফোরণকে গ্যাস পাইপলাইন দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছিলো। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের আলামত পেয়েছেন তারা। এক বিবৃতিতে হাজম জঙ্গিরা বলেছে, এ বোমা বিস্ফোরণ মুসলিমঅধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে হত্যাকারী, নারী ও শিশুদের হত্যাকারী দূতাবাসের জন্য একটি সতর্কসংকেত। আর এ হামলা দুর্বল মুসলিম জনগোষ্ঠীটির মানুষের প্রতি সংহতিও।