স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধেও এগিয়েছে বেশ। এবার বিজ্ঞান, বাণিজ্য, মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তন তথা ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে ৬ জন। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে ৯ জন।
বিজ্ঞান বিভাগ তথা ‘ক’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে দুজন। এরা হলো- আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ জেহালার আমিরুল হক ও রেহেনা পারভীনের ছেলে ইনজামাম-উল হক তোহা এবং চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার আব্দুল মজিদ জোয়ার্দ্দার জিল্লু ও সৈয়দা সাহেদ আরার মেয়ে নুঝাত তাবাসসুম প্রমি। প্রমি কুয়েটেও ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাণিজ্য তথা ‘গ’ ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে তিনজন। এরা হলো- চুয়াডাঙ্গা জোয়ার্দ্দারপাড়ার জিল্লুর বারী জোয়ার্দ্দার তুষার ও সাহানাজ পারভীন নাজমার ছেলে রুম্মণ-বিন ওয়ালীদ নিলয়, চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার প্রশান্ত কুমার দাস ও ভক্তি রাণী দাসের ছেলে প্রবাল কুমার দাস এবং চুয়াডাঙ্গা এতিমখানা সড়কের আখতারুজ্জামান ও হাবিবা বেগমের মেয়ে বিপাশা আজমেরী নিশি। বিভাগ পরিবর্তন তথা ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে দামুড়হুদা থানাপাড়ার সানোয়ার হোসেন ও রুহিনা তছলিম জাহানের ছেলে আল জুবায়ের জুয়েল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারীদের পাশাপাশি অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে অনেকেই। যারা অপেক্ষমাণ তালিকায় থেকেও নিশ্চিতভাবে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া যায় তাদেরকেই সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরকম অপেক্ষমাণ তালিকায় যারা রয়েছে তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আব্দুল হক মালিকের ছেলে ফাহিম আল-জুবায়ের মেনন, ডিঙ্গেদহ হানুরবাড়াদির মিজানুর রহমানের মেয়ে সাফিয়া আক্তার দিপা, হাতিকাটা খেয়াঘাটপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসাইন সুজন, চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে শেখ শাহবাজ, চুয়াডাঙ্গা এতিমখানাপাড়ার মুন্সি আলাউদ্দীনের মেয়ে লোমাত আলা প্রভা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র মেহেরপুর মুজিবনগর মহাজনপুরের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ও দামুড়হুদা দলিয়ারপুরের রফিকুল ইসলামের মেয়ে শিরীনা আক্তার রিপা। বিভাগ পরিবর্তন তথা ‘ঘ’ ইউনিটে যারা সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে তারা হলো- চুয়াডাঙ্গা তালতলা পূজাতলাপাড়ার আশকার আলীর ছেলে আশরাফুল আলম সুজন ও চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার মরহুম মাবুদ মালিকের মেয়ে ফারজানা তাসমিম মৌটুসি। প্রভা, নিলয়, নিশি, জুবায়ের, আশরাফুল আলম সুজন এবং মৌটুসি পুরাতন ব্যাচ তথা ২০১২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাকি সকলেই ২০১৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনকারীদের নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রকাশ করে। বিগত কয়েক বছরের ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণদের মধ্যে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই যারা ভর্তির সুযোগ পান তাদেরকেই সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকা হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া যেহেতু ভর্তি পরীক্ষার এ ফলাফল বিক্ষিপ্তভাবে থাকে, তা গচ্ছিত করতে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হয়, সেহেতু কিছু নাম বাদ পড়তেই পারে। তারপরও সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়, যাতে সকল কৃতী শিক্ষার্থীর নাম প্রতিবেদনে অন্তর্ভূক্ত করা যায়। এবার রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় থেকেও প্রতিবেদনে নাম বাদ পড়ে চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার আব্দুল হান্নান খানের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন গরবী।