জীবননগর দেহাটির স্কুলছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন
জীবননগর ব্যুরো: বখাটে সুশান্ত পালের হুমকিতে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলছাত্রী সুমি খাতুনের (১৪)। সে জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামের বিশারত আলীর মেয়ে ও কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল বুধবার দুপুরে জীবননগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্কুলছাত্রীর মা রেবেকা খাতুন এ অভিযোগ করেন।
রেবেকা খাতুন তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তার মেয়ে গত ২৮ জুলাই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম গটার পুকুরে গোসল করছিলো। এ সময় দেহাটির মৃত সিদাম পালের ছেলে সুশান্ত পাল (৪০) পুকুরে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে। এ সময় সে স্কুলছাত্রীর পরনের পাজামার বর্ণ খুলে ফেলে। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীতাহানি ঘটানোকালে মেয়েটির চিৎকারে তার গ্রাম্য মামা আয়ুব আলী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। সুশান্ত পাল এ সময় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সুশান্ত পালের মামা স্কুলশিক্ষক আনন্দ কুমার পালের বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ শুরু করেন। মামলা করতে নিরুৎসাহিত করেন। আনন্দ পালের কালক্ষেপণের সুযোগে বখাটে সুশান্ত গত ৯ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুশান্ত ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের হুমকি প্রদান করে। এ হুমকির ফলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে সুমির। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও অভিযোগ করা হয় সুশান্ত পাল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার কারণে ঘর ভেঙেছে কুলতলার এক গৃহবধূর। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুমির মা রেবেকা খাতুন মেয়ের স্কুলে যাওয়া নিরাপদকরণসহ বখাটে সুশান্তর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিন জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুশান্ত ওই স্কুলছাত্রীকে হুমকি প্রদান করার পর তাকে জানানো হয়। ইউপি সদস্য দলিল উদ্দিন দলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ব্যাপারটি আমরা স্থানীয়ভাবে আপস নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বখাটে সুশান্ত পাল ও তার মামা স্কুলশিক্ষক আনন্দ তা অমান্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক সদস্য দলিল উদ্দিন দলু, আশরাফুল ইসলাম ঘটনা, দাউদ হোসেন ও নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পিতা উপস্থিত ছিলেন।