বেলগাছি রেলগেট টানা ১ ঘণ্টা বন্ধ : উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি লেবেলক্রসিঙে টানা ১ ঘণ্টা গেট আটকে থাকায় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন গেটম্যান। রেলের বড় কর্তাদের উদ্দেশেও উত্তেজিত পথচারী পরিবহন চালকেরা ছুড়েছে কটুক্তি। গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত গেট বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অবশেষে লেবেলক্রসিঙে ডিজিটাল প্রযুক্তি স্থাপনের কাজে নিযুক্ত প্রকৌশলী স্টেশন কন্ট্রোলরুমের কম্পিউটারে ক্লিক করে সমস্যার সমাধান করেন। সেখানে থাকা অপারেটর ক্লিকের স্থান খুঁজে না পাওয়ায় নাকি সফটওয়ারের সমস্যায় ১ ঘণ্টা লেবেল ক্রসিঙের দরজা বন্ধ থাকলো? নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিম জোনের রেলওয়ের সকল লেবেলক্রসিঙেই ডিজিটাল সিগন্যালে জ্বলবে লালবাতি, বাজবে ভেপু। গেট নামানোর পর কন্ট্রোল রুম থেকে কম্পিউটারে ক্লিক করে সুইচ বন্ধ করলেই মিলবে গেট খোলার চাবি। অন্যথায় আটকে থাকবে চাবিদ-। এ পদ্ধতি সংযুক্ত করার পাশাপাশি নিযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে কলমে শেখানোও হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের দু প্রান্তের দুটি লেবেলক্রসিঙে সাইরেনের শব্দ প্রথমে বিরক্তিকর বলে স্থানীয়রা অভিযোগ উত্থাপন করলেও তাতে তেমন কেউ কর্ণপাত করেনি। একদিন এসব গা সওয়া হয়ে যাবে ভেবেই নীরবে সহ্য করছেন লেবেল ক্রসিং সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু গতকাল বুধবার বেলগাছি গেট যখন ১ ঘণ্টা আটকে তখন সহ্যের বাধ যেন ভেঙেছে প্রায় সকলের।
এসব তথ্য জানিয়ে স্থানীয়রা বলেছে, ডাউন কপোতাক্ষ যখন চুয়াডাঙ্গা স্টেশন অতিক্রম করে তখন বেলগাছি রেলগেটে গেট আটকানোর সিগন্যাল দেয়া হয়। গেটম্যান গেট আটকে চাবি নির্ধারিত স্থানে রাখেন। কপতাক্ষ চলে গেলেও গেট আর খোলে না, সাইরেনও বন্ধ হয় না। গেটের দুদিকে বাড়তে থাকে ছোটবড় যানবহনের সংখ্যা। ক্ষুব্ধ চালকদের কেউ কেউ গেটম্যানকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তার ছিটে ফোটা কর্তাদের উদ্দেশেও ছাড়তে থাকে তারা। এর মাঝে উর্ধমুখি মহানন্দও অতিক্রম করে। উত্তেজনার পারদ নামতে থাকে যখন গেট খোলা হয়। কেন এই জটিলতা? ক্ষতিয়ে দেখে দোষির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।