মাথাভাঙ্গা মনিটর: এবার যেনতেন নয়, ২৪ কেজি সোনার শাড়িতে সাজবেন দেবী দুর্গা। শাড়িতে সোনার কারুকার্য, ফুল, পাখি, প্রজাপতি আর ময়ূরের নকশা থাকছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাকে সাজানো হচ্ছে সোনার শাড়িতে। ৮২তম বছরে এটাই তাদের সব থেকে বড় চমক। সোনার শাড়ি মানে অনেকেই ভাবতে পারেন সোনার সুতোর কাজ করা শাড়ি। এক্কেবারেই তা নয়। নিখাদ সোনায় মুড়ছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা মূর্তি। ২৪ কেজি ওজনের সোনা শাড়ি বানাচ্ছেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল।
পূজার উদ্যোক্তা প্রদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পূজা সবার থেকে আলাদা। ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম থিম পূজা করে দেখিয়েছিলাম। এখন সবাই আমাদের সেদিনকার ভাবনাকে অনুসরণ করে। এবারও আলাদা কিছু করার ইচ্ছা ছিলো। এমনিতে আমরা লন্ডনকে তুলে আনছি কোলকাতার বুকে। তবে সব থেকে বড় মায়ের সাজে। এবারে মা-কে আমরা ২৪ কেজি নিখাদ সোনার শাড়ি দিচ্ছি। অগ্নিমিত্রা পাল জানান, এই প্রথমবার ঠাকুরের পোশাক ডিজাইন করছি। আমার কাছে এটা একটা বিশাল পাওনা। সোনার শাড়ি তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। শাড়িতে যে সোনার কারুকার্য থাকছে তার বেশিটাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে ফুল, পাখি, প্রজাপতি আর ময়ূরের নকশা। এগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি করা হবে ময়ূর আর প্রজাপতির নকশা। আর সেই বাহারি শাড়ি পরে দেবী পাড়ি দেবেন শিয়ালদহের গলি থেকে লন্ডনের পথে। দুর্গা ছাড়া বাকি সরস্বতী-লক্ষ্মী থেকে শুরু করে অসুরসহ গোটা পরিবারের পোশাক করছেন অগ্নিমিত্রা। তিনি জানান, বাকিদের কাপড়ে সোনা নেই। তবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জনপ্রিয় শাড়ি-কাপড় থাকবে। তাদের কাপড়ে থাকছে কাঞ্জিভরম, বালুচরী, ইক্কত, কাঁথা কাজের শাড়ি। মূলত বিশ্ব মায়ের কাছে প্রার্থনা বিশ্ব শান্তির। এই কারণেই শাদার ব্যবহারে জোর দেয়া হচ্ছে। প্রদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তাদের এই শাড়ির জন্য ৬ কোটি টাকার সোনা ব্যবহার করা হয়ে গেছে। আরও যা লাগবে, তা দেয়া হবে।