চুয়াডাঙ্গার হরিশপুরে স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দেহভোগের অভিযোগ ॥ হট্টগোলে ভেস্তে গেছে সালিস বৈঠক ॥ আটক ৬

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের হরিশপুর গ্রামে স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এক সন্তানের জননীকে দে ভোগের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী বকুলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিস বৈঠক বসলেও হট্টগোলের মধ্যে তা ভেস্তে গেছে। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে অভিযুক্ত বকুল নানা কৌশল নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করলেও ৪ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। এসব নিয়ে হরিশপুর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর দক্ষিণপাড়ার এক সন্তানের জননী সালিস বৈঠকে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী দিনমজুর করে সংসার চালান। মাঝে মধ্যে কাজের সন্ধানে ভিন্ন জেলায় গিয়ে থাকেন। আর এ সুযোগে বিয়ের পর থেকে একই গ্রামে রবিউল ইসলামের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করে। একপর্যায় বকুল আমাকে কু-প্রস্তাব দিলে বিষয়টি আমি আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বলি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বুকুলের বাড়ির লোকজন এসে গোপনে আমার কাছে ভুল স্বীকার করে। আমি সেবারের মতো বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখি। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও বকুল আমার পিছু নেই। কয়েকদিন আগে আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বকুল আমার ঘরে ঢুকে আমার সম্ভ্রমহানি করে এবং ঘটনা জানাজানি করলে আমার সন্তান ও স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বকুলের হুমকিধামকিতে বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট নিয়ে স্বামীর সংসার করি। ঘটনা প্রকাশ না করার সুযোগে বকুল প্রায় সময় সুযোগ বুঝে আমার ঘরে আসতো। ভাবলাম এ অপরাধ প্রকাশ না করে থাকা যায় না। শেষমেষ আমার স্বামীকে সব ঘটনা খুলে বলি। বিষয়টি এ কান থেকে সে কান করতে করতে গ্রামের অনেকেই তা জেনে ফেলে। এ নিয়ে গতপরশু বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের মিনাজুলের চায়ের দোকানের সামনে সালিস বৈঠক বসে। সালিসে আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা প্রকাশ করি। হঠাত হট্টগোলে সালিস বৈঠক ভেস্তে যায়।
এদিকে হট্টগোলে কে কাকে ধাক্কা মেরেছে তা কেউ বলতে না পরলেও বকুলের পিতা রবিউল ইসলাম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বকুল ওই রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে সদর থানা পুলিশ এবং বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ হরিশপুর গ্রামের ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীসহ ৬ জনকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার সকালে বকুল বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। আটককৃত দুজন মামলার আসামি হওয়ায় তাদেরকে আদালত সোপর্দ করে পুলিশ। বাকি ৪ জনকে ছেড়ে দেয়। গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেছে, বকুল নিজেকে বাঁচাতে রাতের আঁধারে নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কারণ বকুল অর্থবিত্তশালী লোক। এ বিষয়ে বকুল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

Leave a comment