জীবননগর ব্যুরো: সহোদরকে কি কারণে আটক করা হয়েছে তার খবর জানতে ক্যাম্পে গিয়ে বিজিবি সদস্যদের হাতে ইউপি সদস্যসহ লাঞ্ছিত হয়েছেন সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন। লাঞ্ছিতের পর চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা হলে গয়েশপুর গ্রামবাসী ক্যাম্প গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আটক আমিন উদ্দিনকে (৩২) খালিশপুরস্থ-৫৮ ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মুচলেকা নিয়ে রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পাওয়া আমিনকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গয়েশপুর বিওপিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী সুত্র জানান, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন ময়েন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আমিন উদ্দিনকে বিকেলের দিকে গ্রামের মসলেম উদ্দিনের চায়ের দোকান থেকে আটক করেন গয়েশপুর বিওপির সদস্যরা। গয়েশপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আমিনুল ইসলাম তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন মেম্বার ইসরাফিল হোসেন পুকুকে সাথে নিয়ে আটকের কারণ জানতে ক্যাম্পে যান। এ সময় হাবিলদার আমিনুল ইসলামসহ বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন এবং ধাক্কা দিতে দিতে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৫৮ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা সেখানে হাজির হয়ে চেয়ারম্যান ময়েন ও মেম্বার পুকুকে ছেড়ে দেয়া হলেও আটক আমিন উদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় খালিশপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নে। রাতে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ময়েন।
গ্রামবাসীর ধারণা গয়েশপুর বিজিবি ক্যাম্পের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে একই গ্রামের প্রবাসফেরত ইন্তা। পুলিশ গত বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানায় গ্রেফতার করেন। বিজিবির ধারণা আমিন উদ্দিন পুলিশ দিয়ে ইন্তাকে গ্রেফতার করিয়েছে। সে কারণেই বিজিবির হাবিলদার আমিন উদ্দিনকে আটক করে বলে ধারণা।
ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জনপ্রতিনিধি। জনগণকে সেবা করায় আমাদের কাজ। বিজিবি ক্যাম্পে যাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা আমাদের সাথে যে আচরণ করেছে তা বলার মতো নয়। এই যদি হয় জনপ্রতিনিধিদের অবস্থা তাহলে তাদের ইজ্জত কোথায়? সীমান্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিজিবি মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধের নামে নিরীহ মানুষকে নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভায় বিষদ আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে গয়েশপুর বিজিবির মতামত জানতে বিওপির মোবাইল নম্বরে একাধিক ফোন দেয়া হলেই সংযোগ না পাওয়ায় বিজিবির মতামত জানা সম্ভব হয়নি।