স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার নাগদহের জাহাপুর গ্রামের ৮৭ বছরের বৃদ্ধা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। গত পরশু রাতে তিনি নিজ বাড়ি থেকে বিষপান করেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যু হয়। সকালে পুলিশে না জানিয়ে ও অপমৃত্যু মামলা ছাড়া স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মাইকে প্রচার করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসির নির্দেশে ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ বাধা প্রদান করে। গতকালই লাশের সুরত হাল রির্পোট শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে প্ররণ করে পুলিশ। এ ব্যাপারে মৃতের বড় ছেলে বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জাহাপুর গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মৃত সৈয়দ আলী বিশ্বাসের ছেলে আলতাফ বিশ্বাস (৮৭) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। সকালে মাইকে প্রচার করা হয় তার মৃত্যু হয়েছে। বাদ আছর দাফন করা হবে। দুপুরে লাশ ধোয়ানোসহ কাফন পরিয়ে দাফনের চেষ্টা করা হয়। এ সময় সংবাদ পেয়ে ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ ধাফনে বাধা প্রদান করে। পুলিশি বাধায় প- হয়ে যায় দাফনের চেষ্টা। গ্রামবাসীর মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, সৈয়দ আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম (৭০) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানাতে পড়ে আছেন। সৈয়দ আলী ও জুলেখার রয়েছে ৪ ছেলে সন্তান। ছেলেরা প্রতিমাসে পালা করে পিতা মাতার খাবারের দায়ীত্ব নেন। ছেলের বউদের খাবারের খোটা সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে নাকি ঘটনার আড়ালে অন্য কোনো ঘটনা আছে সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে গ্রামবাসীর মন্তব্য। তবে খাবারের খোটায় আত্মহত্যার বিষয়ে সৈয়দ আলীর পরিবারের লোকজন অস্বীকার করে বলেছেন, গ্রামের কিছু লোকজন এমন প্রচার করছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
পারিবারিক সূত্র আর জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে থাকা বিষপান করেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে হাসপাতালে নেবার পথে মার যায়। সকালে পুলিশে না জানিয়ে দাফন করতে গেলে পুলিশ গিয়ে বাধা দেয়। পরে মৃতের বড় ছেলে লিয়াকত বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করেন।
এ ব্যাপারে ঘোলদাড়ী ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই ফারুক হোসেন মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সকালে মাইকে প্রচার শুনেছি। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেনের নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বিষপানের ঘটনা জানতে পারি। পরে বেলা ২টার দিকে লাশ উদ্বার পূর্বক লাশের সুরত হাল রির্পোট শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গতকালই লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে গ্রাম সূত্রে জানা গেছে।