স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসির বীজ পরিবহনের দরপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের অবকাশকালীন নির্দেশে বন্ধ করার যাবতীয় কার্যক্রম রি-টেন্ডার বন্ধের আপিল করেন মের্সাস আসগর আলীর স্বত্বাধিকারী আসগর আলীর আইনজীবী অ্যাড. আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পান আসগর আলী। কিন্তু উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে পুনরায় ৩০ আগস্ট একই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আসগর আলী। হাইকোর্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ইস্যু কোনো পক্ষেরই করার কিছু নেই। যদি কেউ কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেন তা হবে আদালত অবমাননার শামিল।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪ হাজার মেট্রিক টন ধান ও অন্যান্য বীজ পরিবহনের জন্য চুয়াডাঙ্গার বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের (বীপ্র) যুগ্ম পরিচালকের দফতর থেকে এই দরপত্র আহ্বান হয়। সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার বীপ্র যুগ্ম পরিচালকের দফতর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বীজ পরিবহনের জন্য এই দরপত্র আহ্বান করে। ৯ আগস্ট ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিলো। এ সময়ের মধ্যে মাত্র দুটি দরপত্র জমা পড়ে। এর একটি ছিলো কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলীর ও অপরটি চুয়াডাঙ্গার এসএল এন্টারপ্রাইজের অংশীদার এনামুল হকের। একই দিন বেলা তিনটায় বীপ্রর যুগ্ম পরিচালকের দফতরে দরপত্র খোলা হয়। আসগর আলী ২ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার এবং এনামুল হক ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫০ টাকা দর দেন।
দরপত্রের ৮ নম্বর শর্তানুযায়ী দরদাতাকে সরকারি/আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিবহন কাজের অভিজ্ঞতার সনদ ও হালনাগাদ কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), টার্নওভার ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন দাখিল করার কথা। আসগর আলী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিবহনের বিল ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের কর-সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করেন। অপরদিকে এনামুল হক ৪১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ টাকা বেশি দর হাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, সোমবার বিকেল থেকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে মূল্যায়ন কমিটি এনামুল হককেই কার্যাদেশ দেয়ার সুপারিশ করছে। এতে সর্বনি¤œ দরদাতার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এবং আসগর আলীকেই কার্যাদেশ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতে মূল্যায়ন কমিটি পুনঃদরপত্রের সুপারিশ করতে বাধ্য হয়।