আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধ : সংঘর্ষে আহত ৬ আটক ৫

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের খুদিয়াখালী গ্রামের শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৫ জন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর। মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী গ্রামের মৃত রমজান কাজীর ছেলে ময়নাল তার বোনাই চুয়াডাঙ্গা নুরনগর কলোনিপাড়ার খোকনের কাছে ৫টি কাঠাল গাছ বিক্রি করে। গতকাল বিকেলে সেই গাছ কাটতে গিয়ে ৫টির বদলে ৮টি গাছ কেটে ফেলে। ওই জমি নিয়ে অন্য শরিকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কাটা নিয়ে খোকন ও তার স্ত্রী জাহানারার সাথে আইনালের ছেলে কলম, তুষার, ময়নালের ছেলে আলামিনের সাথে বাগবিতন্ডা বাঁধে। এরই একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জাহানারা ধারালো দায়ের কোপ দিয়ে কলমের ডান পায়ে মারাত্মক জখম করে বলে কলম অভিযোগ করে জানাই। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ময়নালের স্ত্রী আকিলিমা, ছেলে আলামিন ও তুষারকে পিটিয়ে জখম করে। তাদের উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও মারাত্মক জখম কলমকে হারদি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। অপরদিকে জাহানারা ও তার স্বামী খোকন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের ইনচার্জ এসআই মহাসিন ও টু আইসি ওহিদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনেন। কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ধারালো হাসুয়াসহ নুরনগর কলোনির খোকন, খুদিয়াখালীর মৃত রমজান কাজীর ছেলে ফজলু, আইজাল, আইনাল, ময়নাল, ও ফজলুর ছেলে তহিদুল কে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে।
এ ব্যপারে মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের আইসি মহাসনি আলী মারামারি ও আটকের বিষয় স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রন করতে ৫ জনকে আটক করে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুন কাবীর বলেন আইনালের ছেলে তুহিন বাদী হয়ে মামলা করেছে। আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।