চলন্ত বাসে চুয়াডাঙ্গার নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত

ফেসবুকে পরিচয় : প্রেমের প্রস্তাবে অসম্মতি নাকি পুরোনো প্রেম অস্বীকার?
স্টাফ রিপোর্টার: বাসের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের নারী কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করেছে তার সহযাত্রী। ঈদের পরদিন পরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা লোকনাথপুর ফাঁয়ার স্টেশনের অদূরে। ছুরিকাঘাত করা যুবক শরিফুলকে বাসের যাত্রীরা ধরে পুলিশে দিয়েছে। গতকাল তাকে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের অদেশ দেন।
জানা গেছে, যশোর ঝিকোরগাছার মেয়ে ঐষি আক্তার চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে কর্মরত। তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান। ঈদের পরদিন বাড়ি থেকে বের হন। বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে বিপাশা পরিবহন নামক বাসে ওঠেন। সাথে ছিলো যুুবক শরিফুল ইসলাম। বাসের যাত্রীরা বলেছেন, দুজন বাসে পাসাপাশি বসে চুটিয়ে গল্প করছিলেন। বাসটি দর্শনা অতিক্রম করতেই শুরু হয় ওদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। ফাঁয়ার স্টেশনের নিকট পৌঁছুতেই যুবক তার পাসের আসনে থাকা নারীর মুখে ও মাথায় হাতে ছুরিকাঘাত শুরু করে। রক্তাক্ত নারী নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল বলে পরিচয় দিয়ে সকলের সহযোগিতা চাইতেই যুবক নিজেকে প্রেমিক বলে দাবি করে। বাসের যাত্রীরা যুবককে আটকে পুলিশ লাইনে খবর দেন। পুলিশ লাইনে পৌঁছে নারী ও ওই যুবককে নামিয়ে দেয়া হয়।
নারী কনস্টেবল ঐষি আক্তার (২২) অভিযোগ করে বলেছেন, ওই শরিফুলের বাড়ি রংপুরের পিরগাছা উপজেলার দুর্গাচরনে। আমার ভাইয়ের সাথে পরিচিত। সেই সুবাদে একসাথে বাসে উঠি। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে সম্মতি না জানলে ওর কাছে থাকা চাকু দিয়ে আমার মুখে মাথায় পোচ মারতে থাকে। পক্ষান্তরে যুবক শরিফুল ইসলাম বলেছে, ঐষি আক্তারকে আমি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। ওর সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করি। দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করার পর এখন অন্যের সাথে কথা বলে শুনে মাথা গরম হয়ে যায়। সহ্য করতে না পেরে চাকু মেরেছি। ঐষি আক্তার বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

Leave a comment