দামুড়হুাদায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক ও গরুব্যবসায়ীসহ ১৫ জন  আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা মাঝেরপাড়ার বকুল সাহ’র ছেলে হেডমিস্ত্রি আজগর আলী (২৮) এবং একই গ্রামের মৃত কিয়ামত আলীর ছেলে আলমসাধু চালক নির্মাণ শ্রমিক আশিকুর রহমান আশিক (৪০), মহসিনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক ইস্রাফিল (৩৫), আবুবক্করের ছেলে হোসাইন (২৫), আহাদ আলীর ছেলে জাকির (২৫), মরজেম আলীর ছেলে ওসমান (২৬), শফিকুর রহমানের ছেলে আলী আকবার (২৭), মৃত আনছার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (২৮) ও আত্তাব আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া (২৭)। গতকাল তারা মেহেরপুরের আমঝুপি থেকে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। নির্মাণ শ্রমিকদের হেড মিস্ত্রি আহত আজগার আলী বলেন, প্রতিদিনের মতো গতকালও তারা একই আলমসাধুযোগে আমঝুপি যায় একটি বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজে যোগদিতে। সেখানে কিছু সময় কাজ হওয়ার পর ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিলে তারা সবায় ফিরে যাচ্ছিলো বাড়িতে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা-মুজিবনগর সড়কের কানইডাঙ্গা নামকস্থানে পৌঁছুলে অপরদিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগলে সবাই সড়কের পাকাস্হানে ছিটকেপড়ে আহত হয়। স্থানীয়ারা আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদার চিৎলা হাসপাতালে নেয়। এদের মধ্যে আজগর আলী ও আশিককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় এবং ইস্রাফিল ও হোসাইনকে চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। জাকির, ওসমান, আলী আকবার, মিজানুর রহমান ও জিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপর ঘটনায়, গরু বিক্রিকরে বাড়ি ফেরার পথে ছয়জন আহত তারা হলেন, বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বড়মসজিদপাড়ার পীর মহাম্মদের ছেলে ইসমাইল (২২) ও তার ভাই ইউছুপ (২৮) এবং ফুলমিয়ার ছেলে দীন মহাম্মদ (২৬), খোর্শেদের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫), রইছ উদ্দিনের ছেলে সাগর (১৮) ও সোনা মিয়ার ছেলে আমির আলী। গতকাল তারা নাটাদাহ থেকে গরু বিক্রি করে আলমসাধু যোগে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের কুড়ালগাছি নামকস্থানে পৌঁছুলে একটি বাইসাইকেলকে পাশকাটিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। আলমসাধুর সকল আরোহী সড়কের পাকাস্থানে আছড়ে পড়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইসমাইলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্হানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

Leave a comment