স্টাফ রিপোর্টার: গত জিম্বাবুয়ে সফরে আবেগের বশে অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণাই দিয়ে বসেছিলেন। সেই সফরটি আসলে ছিলো চুক্তি অনুযায়ী তার অধিনায়ক হিসেবে শেষ সফরও। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে অধিনায়কের পদে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি করিয়েছে। নতুন মেয়াদও দেয়া হয়েছিলো। সেই মেয়াদটি আবার বাড়ালো। আগামী ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকছেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল বিসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
২০১১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের দ্বাদশ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুশফিক। সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তার নেতৃত্বে এরই মধ্যে দারুণ গুছিয়েও উঠেছে দলটি। এখন পর্যন্ত ১২ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। চারটি ড্র ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র জয়টির বিপরীতে সাতটি পরাজয়।
অবশ্য জয়-পরাজয়ের নিরেট পরিসংখ্যান দিয়ে তার অধিনায়কত্বের মূল্যায়ন করা যাবে না। কারণ পরিসংখ্যান শুধু বলবে গল টেস্ট বাংলাদেশ ড্র করেছিলো। কিন্তু সেই সেই ফলাফলে এ তথ্য নেই, ওই টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৫৭০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৩৮ রান করে দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছিলো। মুশফিক নিজে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছিলেন।
অবশ্য ওয়ানডের পরিসংখ্যানে তার সাফল্য বেশ স্পষ্ট। সেখানে নিউজিল্যান্ডকে ধবল ধোলাই করার স্মৃতি তো টাটকাই। তা ছাড়া মুশফিকের নেতৃত্বেই এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিলো বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টেই শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে গিয়েছিলো পরে ব্যাট করে। ২৮৯ রান তাড়া করে জেতা ম্যাচটিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলো তার ২৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটি।
ওয়ানডেতে ২৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১টিতে জয় এনে দিয়েছেন মুশফিক। তার নেতৃত্বেই ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।